ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যসভায় নতুন ৬১ জন সাংসদের শপথ নেওয়ার কথা বুধবার। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের বেশ কিছু সদস্য করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজের শহর বা এলাকা থেকে দিল্লিতে আসছেন না। যাঁরা আগামিকাল অনুপস্থিত থাকবেন, অধিবেশন শুরু হলে তাঁদের শপথ নেওয়ার কথা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন যে, তাঁদের রাজ্যসভার চার জন নতুন সাংসদের কেউই বুধবার সংসদে যেতে পারবেন না। এঁরা হলেন সুব্রত বক্সি, দীনেশ ত্রিবেদী, অর্পিতা ঘোষ ও মৌসম নূর। ডেরেকের কথায়, “তৃণমূল নেত্রীর কাছে সাংসদদের সুরক্ষা এখন অগ্রাধিকার। কোভিডের কারণে আমরা আমাদের প্রিয় বিধায়ককে হারিয়েছি। তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, অগস্টের শেষ পর্যন্ত কোনও দলীয় নেতা দিল্লি আসবেন না।” অন্য দিকে দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁকে আগামিকাল শপথ নিতে দেখা যাবে।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ২৭ জুলাই যৌথ সিলেক্ট কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। ডেরেক এই বিষয়ে আগামিকাল লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, উভয়কেই চিঠি দেবেন। অনলাইনে এই বৈঠকটি করার অনুরোধ করবেন চিঠিতে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংসদীয় বিভিন্ন কমিটির বৈঠকগুলি ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে করা হোক। কিন্তু সংসদের অধিবেশন যেন ভিডিয়োর মাধ্যমে না-করা হয়। তাতে বিরোধীদের কণ্ঠ, প্রযুক্তি-কৌশলের মাধ্যমে আরও রুদ্ধ করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
নিয়মানুযায়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরু করতেই হবে। বিভিন্ন উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণের আশঙ্কাকে কমিয়ে অধিবেশন করা যায়। এক দিন লোকসভা পরের দিন রাজ্যসভা— এই ভাবে সংসদ চালু করার কথা আপাতত ভাবা হচ্ছে। দূষণ সামলাতে দিল্লিতে যেমন কয়েক দফায় এক দিন জোড় সংখ্যার নম্বরওয়ালা গাড়ি ও অন্য দিন বিজোড় নম্বরের গাড়ি চালানোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই সংসদকে কোভিড-মুক্ত রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy