Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Dowry Death

পণের দাবিতে বধূকে পিটিয়ে দোতলা থেকে ফেলে দিলেন স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি! মৃত্যু তরুণীর

মৃতার বাবার দাবি, দু’মাস আগে তাঁর মেয়েকে মারধর করে দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। তাতে মেয়ের দু’পা, কোমর ও মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হয়।

Representational picture dead body

মৃতার বাবার অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও লাখ টাকা-সহ মোটরবাইক পণের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
পিলিভিট শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৭
Share: Save:

পণের দাবিতে এক বধূকে মারধর করে দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। এমনই অভিযোগ বধূর বাবার। মাস দুয়েক ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর। মেয়েকে খুনের অভিযোগে জামাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার বাবা। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলে রবিবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম আরতি দেবী (৩২)। বছর চারেক আগে উত্তরপ্রদেশের বিলসন্দা থানা এলাকার বাসিন্দা টিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। আরতির বাবা নেমচাঁদের অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও লাখ টাকা-সহ মোটরবাইক পণের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। ৮ জানুয়ারি জেহানাবাদ থানায় এফআইআরে নেমচাঁদের দাবি, ‘‘দু’মাস আগে আমার মেয়েকে ভারী কিছু দিয়ে বেদম মারধর করে দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। তাতে মেয়ের দু’পা, কোমর আর মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এর পর প্রথমে লখনউ এবং পরে দিল্লির হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। শুক্রবার হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।’’

স্থানীয় একটি চালকলে হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করেন আরতির স্বামী। তাঁদের কোনও সন্তান নেই। নেমচাঁদের দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানালেও রবিবার পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও জেহানাবাদ থানার আধিকারিক প্রভাস চন্দ্র জানিয়েছেন, ওই বধূর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৩২৪ ধারায় (ইচ্ছাকৃত ভাবে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা) মামলা রুজু করা হয়েছিল। বধূর মৃত্যুর পর এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় অর্থাৎ পণের দাবিতে মৃত্যুর মতো অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy