Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Fraud

পাক ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন, সন্দেহে দুই আফগান

পুলিশের খবর, কলকাতা স্টেশন থেকে অভিবাসন দফতর ওই দু’জনকে পাকড়াও করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁরা বৌবাজার এবং মহম্মদ আলি পার্কের কাছে থাকতেন।

An image of Fraud case

—প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৪
Share: Save:

লকডাউনের প্রথম পর্ব শেষে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে এ দেশে ঢুকেছিলেন আফগানিস্তানের বাসিন্দা ওয়াহিদ খান। গোয়েন্দাদের দাবি, তখন থেকে ভারতেই ছিলেন তিনি। এ দেশে আরও এক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী আবদুল রহমানের সঙ্গে মিলে তৈরি করিয়েছিলেন ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বিভিন্ন জাল পরিচয়পত্র। সম্প্রতি কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসে চেপে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে ওয়াহিদ ও আবদুলকে পাকড়াও করে তা জানতে পেরেছে পুলিশ।

কী কারণে তাঁরা ভারতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য গোয়েন্দারা দেননি। তবে ওয়াহিদের কাছে পাকিস্তানের একটি ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এক গোয়েন্দা-কর্তার কথায়, ‘‘পাকিস্তানের ওই ব্যাঙ্কটি ইসলামিক আর্থিক নিয়ম মেনে ২০০২ সাল থেকে ব্যবসা করছে। ওয়াহিদের কাছে ওই ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা এসেছিল।’’ এই দু’জনকে অনুপ্রবেশ ও ভুয়ো নথি তৈরির সুযোগ করে দেওয়ার সঙ্গে এক তরুণীর নামও উঠে এসেছে। তাঁর খোঁজ চলছে।

পুলিশের খবর, কলকাতা স্টেশন থেকে অভিবাসন দফতর ওই দু’জনকে পাকড়াও করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁরা বৌবাজার এবং মহম্মদ আলি পার্কের কাছে থাকতেন। সুদের কারবারও শুরু করেছিলেন। এখানকার ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, জন্মের শংসাপত্র, স্কুলের শংসাপত্র তৈরি করান। অসমেও আস্তানা ছিল তাঁদের। অসমের আঞ্চলিক পাসপোর্ট দফতর থেকেই চার লক্ষ টাকা দিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করান দু’জনে।

পুলিশ সূত্রের দাবি, ওয়াহিদের আগে আবদুলও পাক সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে এ দেশে ঢুকে বাস শুরু করেছিলেন। প্রথমে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতার কাবুলিওয়ালা সমাজে পরিচিতি তৈরি করে বৌবাজারে বাসা বাধেন। পরে ওয়াহিদ এলে তাঁকে মহম্মদ আলি পার্কের কাছে বাড়ি খুঁজে দেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy