Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Black Magic

মেয়েকে ‘ভূতে’ ধরেছে! তাড়াতে তন্ত্রসাধনা বাবার, দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখায় মৃত্যু কিশোরীর

পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ভবেশের বিশ্বাস ছিল তাঁর মেয়েকে ‘ভূতে’ ধরেছে। তাই চাকলিধর মাঠে নিয়ে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তার সামনে মেয়েকে দু’ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন।

মেয়ের ‘ভূত’ ছাড়ানোর জন্য তন্ত্রসাধনা। প্রতীকী ছবি।

মেয়ের ‘ভূত’ ছাড়ানোর জন্য তন্ত্রসাধনা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৪৮
Share: Save:

মেয়েকে ‘ভূতে’ ধরেছে। আর সেই ‘ভূত’ তাড়াতে তন্ত্রসাধনা করেছিলেন বাবা। মেয়ের চুলে লাঠি বেঁধে দু’টি চেয়ারের মাঝে দিনের পর দিন দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তিনি। খাবার দিতেন না। জলও নয়। শেষমেশ মৃত্যু হয় বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর। ঘটনাটি গুজরাতের গির সোমনাথ জেলার।

সুরাত থেকে গির সোমনাথ জেলার ধাওয়া গ্রামে মাস ছয়েক আগে এসেছিলেন ভবেশ অকবরী, তাঁর মেয়ে এবং ভবেশের ভাই দিলীপ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবেশ এবং তাঁর ভাই কিশোরীকে নিয়ে নানা তন্ত্রসাধনা করতেন। তাঁকে পুরনো, ছেঁড়া পোশাক পরিয়ে রাখতেন। তার পর কিশোরীকে নিয়ে চাকলিধরে একটি মাঠে নিয়ে যেতেন।

অভিযুক্ত ভবেশ অকবরী।

অভিযুক্ত ভবেশ অকবরী।

পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ভবেশের বিশ্বাস ছিল তাঁর মেয়েকে ‘ভূতে’ ধরেছে। তাই চাকলিধর মাঠে নিয়ে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তার সামনে মেয়েকে দু’ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। তার পর মেয়েটির পোশাক ওই আগুনেই পুড়িয়ে দিতেন। তার পর মেয়েটিকে বেধড়ক মারধর করতেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, মেয়েটির চুলে লাঠি বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। জল, খাবার কিছুই দিতেন না। সেই অত্যাচারে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পর মৃত্যু হয়।

প্রমাণ লোপাট করতে ভবেশ এবং দিলীপ দু’জনে মিলে মেয়েটিকে বেশ কয়েক দিন প্লাস্টিকে মুড়িয়ে বাড়িতে রেখে দেন। তার পর গোপনে পুড়িয়ে দিয়ে আসেন। জেলার পুলিশ সুপার মনোহর সিংহ জাডেজা জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। তন্ত্রসাধনার নামে কিশোরীকে খুন করার একটি মামলাও রুজু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Black Magic Gujarat Girl
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy