বড়ো জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হল শোণিতপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) গুলজার হুসেনের। আজ সকালে ঢেকিয়াজুলি বাতাসিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, এনডিএফবি (সংবিজিৎ) গোষ্ঠীর জঙ্গিরা ঘাঁটি গড়েছে খবর পেয়ে এএসপি গুলজার হুসেনের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়। টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে। বাহিনীর সামনে থাকা গুলজারের একাধিক গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে জখম হন ৫ জওয়ান। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। বেগতিক দেখে জঙ্গিরা পালায়। ঘটনাস্থল থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জখম জওয়ানদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত এএসপি লখিমপুর বিহপুরিয়ায় বাসিন্দা ছিলেন। ১৫ দিন আগে তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে এনডিএফবি (সংবিজিৎ) বাহিনীর প্রচার সচিব বি আর ফেরেঙ্গা দাবি করেছে, তাদের গুলিতে কমপক্ষে ৪ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ৭ জওয়ান জখম।
এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া সব পুলিশকর্মীকে বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হবে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি খগেন শর্মা জানান, শোণিতপুর-অরুণাচল সীমানায় জঙ্গি গতিবিধি মোকাবিলায় পাঁচটি বন শিবির তৈরি করা হবে। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর এলাকার মানুষ ‘এনডিএফবি মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। আলোচনাপন্থী এনডিএফবি শিবির ভাঙচুর করা হয়। দুই প্রাক্তন এনডিএফবি জঙ্গিকে মারধর করা হয়েছে। বিরাট পুলিশবাহিনী ও সেনা ঘটনাস্থলের আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
আজ সকালে শিবসাগরের স্টেশন চারিয়ালিতে বোমা ফেটে এক দুষ্কৃতী জখম হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাজু আলি নামে এক যুবকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাতে রাজুর দু’হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে, ঘটনাস্থলে আরও একটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজু গ্রেনেড-বোমা তৈরি করছিল। আলফার নামে তোলা আদায়ের অভিযোগে তাকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আজই সকালে গোয়ালপাড়া জেলার হাতিগাঁও রাবার বাগানের মাটি খুঁড়ে ৬টি বোমা, ৮টি ডিটোনেটর ও একে ৪৭ রাইফেলের প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, সে গুলি আলফা জঙ্গিরা লুকিয়ে রেখেছিল।
এসপি সংযুক্তা পরাশর বলেন, “সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল তিন-চারজন। লাওডাঙি এলাকার মৌরাপুরি নিম্ন প্রাথমিক স্কুলের কাছে তারা লুকিয়েছিল। পুলিশের বলেরোটি কাছাকাছি আসতেই তারা গুলি চালাতে থাকে।” পুলিশ কনভয়ে আরও দুটি গাড়ি ও একটি ট্রাক্টর ছিল। ঘটনার পরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, জঙ্গিরা আগেই গ্রামটি প্রায় খালি করে দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy