করতলে উন্নতিসূচক রেখাগুলি থেকে যে তথ্য পেয়ে থাকি, তার মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাশ করা, চাকরি প্রাপ্তি, বিদেশ যাত্রা, ফেলোশিপ পাওয়া, বিরাট অঙ্কের অর্থ লাভ, নির্বাচনে জেতা, মন্ত্রী হওয়া, ভাল ব্যবসা, অভিনয়ে সাফল্য, লেখক হিসাবে সাফল্য, ইত্যাদি।
হাতের প্রায় সব উন্নতিসূচক রেখাই হয় ঊর্ধ্বমুখী। সেই সব উন্নতিসূচক রেখাগুলি সম্বন্ধে নীচে আলোচনা করা হল:
(১) আয়ুরেখা থেকে বেশির ভাগ উন্নতিসূচক রেখা ১৮ বছর বয়সের পর থেকে বেরোতে থাকে। এটা চলে কমপক্ষে ৭০ বছর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:শিরোরেখায় ছেদ বা ভগ্ন বা ওভারল্যাপ থাকলে কী ঘটে
(২) আয়ুরেখা থেকে বেরিয়ে কোনও রেখা যদি বৃহস্পতির ক্ষেত্রের দিকে মুখ করে থাকে বা পৌঁছয়, এই রকম রেখায় প্রথমেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ভাল রেজাল্টকে বুঝিয়ে থাকে। নির্বাচনে জেতা বা বড় ধরনের চাকরি, যার থেকে নাম যশ আসে, এই রেখা সেটাও নির্দেশ করে থাকে। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে যাওয়া মানেই ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাফল্য পাওয়া। এখানে প্রতিভার ব্যাপারটা সে ভাবে থাকে না।
(২) আয়ুরেখা থেকে উন্নতিসূচক রেখা যদি শনির ক্ষেত্রে যায়, এমন রেখায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি প্রাপ্তি বোঝায়। এখানে কায়িক শ্রম আছে এমন চাকরির কিছুটা হদিশ পাওয়া যায়।
(৩) আয়ুরেখা থেকে যদি রবির ক্ষেত্রে উন্নতি সূচক রেখা যায়, তা হলে বুঝতে হবে, মানুষটির মধ্যে জন্মগত প্রতিভা আছে। এই রেখা সেই প্রতিভার স্বীকৃতিলাভও বোঝায়। সে আর পাঁচ জনের থেকে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে আলাদা। এখান থেকে নানা পুরষ্কার পাওয়া বোঝায়। এখানে অর্থ ও সম্মান দুই-ই বোঝায়।
(৪) আর আয়ুরেখা থেকে বুধের ক্ষেত্রে উন্নতিসূচক রেখা গেলে, ব্যবসায়ী দক্ষতা বোঝায়। এই নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা ভাল যায়, এমন অনেক রোজগার হয় যা ভাবাই যায়নি।
(৫) এ বার আসা যাক ভাগ্য রেখার ব্যাপারে। ভাগ্যরেখা থেকে অনেক কিছুর বিচার হয়ে থাকে। সেই ভাগ্যরেখা সব থেকে ভাল, যা মণিবন্ধ থেকে উঠে শনির মাউন্টে হৃদয়রেখা অতিক্রম করে মধ্যমার নীচ অবধি যায়। এঁদের জীবনে ওঠানামা থাকে না বলা যায়। এঁরা আজীবন পরিশ্রমী। হাতে রবি রেখা ভাল থাকলে সব দিকে সাফল্য লাভ করে থাকেন। এঁরা যে কোনও ভাবেই প্রথম জীবন থেকে কর্ম বা আয় আরম্ভ করে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আয় করে যান।
(৬) একই ভাবে কবজি থেকে উঠে রবির ক্ষেত্রে রেখা যাওয়া মানে জন্ম থেকেই প্রতিভাবান আপনি। যথা নিয়মে স্বীকৃতি পাবেনই।
(৭) চন্দ্রের থেকে ওঠা ভাগ্যরেখা স্বীকৃতি পেতে হলে অপরের মন জয় করতে হয়। এখান থেকে ওঠা ভাগ্যরেখায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির কাছ থেকে বিরাট সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে জীবনে ওঠানামা থাকে।
(৮) করতলের যে কোনও মাউন্ট থেকে ওঠা ভাল রবি রেখা সব ক্ষেত্রেই উন্নতিসূচক ও কেরিয়ারে সাফল্য দিয়ে থাকে। তবে খুব নরম তুলতুলে করতলে রবিরেখা সে ভাবে ফল নাও দিতে পারে।
(৯) দুই হাতে ভাল লম্বা রবিরেখা যদি কোনও জাতকের থাকে এবং তা যদি শুক্রের ক্ষেত্র বা আয়ুরেখা বা চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে ওঠে, তা হলে তাঁর স্ত্রী কোনও ভাল চাকরি করবেনই। জাতকের পিতার সমাজে নাম, ডাক ও প্রতিষ্ঠা থাকবেই।
(১০) মঙ্গলের ক্ষেত্র যা বুধের নীচে ওঠা উন্নতি সূচক রেখা যা রবির ক্ষেত্রে যায়, তা অনেক কষ্ট বা মামলা মোকদ্দমার পর চাকরি প্রাপ্তি বোঝায়।
(১১) ভাগ্যরেখা যদি চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে উঠে হৃদয়রেখা অতিক্রম করে কোনও রকমে শনির ক্ষেত্রে পৌঁছয়, তা হলে এঁরা মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আয় করে। আর যদি হৃদয়রেখা ছুঁয়ে আর উপরে মাথা না বের করে, তা হলে ৫৫ বছর পর্যন্ত আয় করে, তারপর আর আয় হয় না। আর যদি শিরোরেখা শেষ হয়ে থাকে, তা হলে ৩৫ বছর পর্যন্ত আয় হয়, তার পর আর আয় হয় না।
(১২) হৃদয়রেখার উপর রবিরেখা জীবনের শেষ প্রান্তে আয়ের সুযোগ আনে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে আয়ের সুযোগ আসে। এই একই কথা খাটে ভাগ্যরেখা যদি হৃদয়রেখার উপর থেকে উঠে মধ্যমার নীচ অবধি যদি ছোঁয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy