সন্তানসম্ভবা হওয়ার আগেই প্রয়োজন দম্পতির রাশিচক্র বা হস্তরেখা বিচারের। এই সময়ে দশ মাসে ন’টি গ্রহ প্রভাব বিস্তার করে। প্রথম মাসে শুক্র গ্রহের প্রভাব থাকে। এখন দেখে নেওয়া যাক ‘গন্ডদোষ’ কী ও তার প্রতিকারও বা কী হতে পারে:
অশ্বিনী, মঘা ও মূলা নক্ষত্রের প্রথম তিন দণ্ড এবং রেবতী, অশ্লেষা ও জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের শেষ পাঁচ দণ্ড সময়ে কোনও সন্তান জন্ম হলে ‘গণ্ডদোষ’ প্রাপ্ত হয়। এই দোষ তিন রকম- পিতৃগণ্ড, মাতৃগণ্ড ও স্বগণ্ড।
গণ্ডদোষ ফল:
১। পিতৃগণ্ডে পিতার মৃত্যু বা ক্লেশভোগ। ২। মাতৃগণ্ডে মাতার মৃত্যু বা ক্লেশভোগ। ৩। স্বগণ্ডে জন্মিলে জাতকের মৃত্যু বা কঠিন দীর্ঘস্থায়ী ক্লেশভোগ হয়।
আরও পড়ুন: শনিবারে জন্মানো ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য, পেশা ও বিবাহিত জীবন কেমন হয়
গ্রহরিষ্টি দোষ থাকলে গ্রহ নির্ধারিত ফল অনুসারে কষ্টভোগ করতে হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই দোষের প্রতিকার কী ভাবে পাওয়া যাবে এবং সুস্থ সন্তান লাভ হবে:
গর্ভবতী অবস্থায় যদি নবগ্রহের স্তোত্র পাঠ করা যায়, তা হলে সন্তানের দীর্ঘায়ু লাভ, অতীব বুদ্ধি লাভ, শান্ত-নম্র-ভদ্রতা যোগে জন্ম হয়।
গ্রহরিষ্টি দোষ থাকলে গ্রহ নির্ধারিত ফল অনুসারে কষ্টভোগ করতে হয়। অতএব সর্বদাই রাশিচক্র ও হস্তরেখা অনুসারে গ্রহের প্রভাবকে বলবান রাখলে দীর্ঘায়ু, সুস্থ-সবল, বুদ্ধিমান সন্তান প্রাপ্তি সম্ভব।
সন্তান ভূমি হওয়ার পর তার কোষ্ঠী প্রস্তুত করে সব রকম গ্রহদোষ, রিষ্টিযোগের বিধান দ্বারা বিচার করে ফলাদেশ জানা প্রয়োজন।
কুমকুম, চন্দন, কূট, গোরচনা, ঘৃত মিশ্রিত করে জলপূর্ণ চারটি কলসিতে ঢেলে, চারজন ব্রাহ্মণ দ্বারা সহস্রাক্ষ মন্ত্র পাঠ করিয়ে গণ্ডজাত সন্তানকে স্নান করালে গণ্ডদোষের প্রতিকার হয়।
পারদের শিবলিঙ্গে দুধ, গঙ্গাজল, ঘি, মধু, অগূঢ়, শ্বেত চন্দন, সিদ্ধি, গোলাপ জল, কেশর, কর্পূর মিশ্রিত জলে তিনবার ‘ওঁ পারদেশ্বর মহেশ্বরায় নমঃ’ মন্ত্র বলে স্নান করিয়ে, শিবলিঙ্গের মাথায় অক্ষত বিল্বপত্র, ফুল চন্দন দ্বারা অর্পণ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy