বাংলায় একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে, ‘কপালে কী আছে কে জানে’। এর অর্থ হল ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে তা কারও জানা নেই।
নিজের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানার ইচ্ছা সব মানুষেরই থাকে। এই ইচ্ছা আগেকার মানুষজনের মনেও ছিল, আজকালকার মানুষদের মনেও রয়েছে। প্রাচীন কালের মানুষেরাও এই বিষয় নিয়ে নানা চর্চা করত। মানুষের মুখমণ্ডলের একটি অংশ দেখে একজন মানুষ সম্বন্ধে নানা জিনিস বলে দেওয়া যায়। সেই অংশটি হল কপাল। কপাল মুখমণ্ডলের একটি বিশেষ অংশ। নির্দিষ্ট ব্যক্তির কপাল দেখে উক্ত ব্যক্তির সম্বন্ধে অনেক কিছুই বলে দেওয়া যায়।
কপালের উপর বুধ গ্রহের প্রভাব রয়েছে। কোনও ব্যক্তির কপাল সুন্দর হলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর বুধের শুভ প্রভাব রয়েছে ধরে নেওয়া যায়। কপালের আকার-আকৃতি বিচার করে উক্ত মানুষটির নানা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর ব্যাপারেও আন্দাজ করা যায়। জেনে নিন ভিন্ন ধরনের কপাল অনুযায়ী মানুষের কেমন প্রকৃতির হয়-
উজ্জ্বল এবং অর্ধচন্দ্রাকার কপাল বিশিষ্ট ব্যক্তি বুদ্ধিমান এবং চতুর প্রকৃতির হন। এঁদের অনুভূতি এবং কল্পনাশক্তি প্রখর হয়।
প্রশস্ত, উজ্জ্বল অর্ধচন্দ্রাকার কপাল বিশিষ্ট জাতক-জাতিকারা বুদ্ধিমান, খ্যাতিমান এবং জনপ্রিয় হলেও কেউ কেউ প্রচুর অর্থ লাভ করবেও সকলেই অর্থবান হন না। কিন্তু জীবন অর্থসঙ্কটের মধ্যে দিয়ে কাটে না, বিলাসবহুল না হলেও ভাল ভাবে জীবন অতিবাহিত করেন বলা যায়।
প্রশস্ত, সুগঠিত এবং উজ্জ্বল কপালের সঙ্গে গাল এবং নাক সুগঠিত না হলে এই সকল জাতক-জাতিকারা জীবনে বিশেষ সার্থকতা এবং সফলতা লাভ করেন না।
উত্তল কপালবিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভ্রুর গঠন যদি সঠিক না হয়, বা ভ্রুর গঠনে সমস্যা থাকে, তা হলে সেই সকল ব্যক্তি বোকা, কৃপণ এবং লোভী হতে পারেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের কপালে ক্ষতচিহ্ন থাকলে তাঁরা নিজের ইচ্ছামতো চলতে পছন্দ করেন এবং এঁরা নিজের সিদ্ধান্তকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন।
কপালে দু’-তিনটি উলম্ব লাইন বা রেখা অবস্থান করলে ব্যক্তি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হন এবং নিজের প্রতিভার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করেন।