৩০ এপ্রিল, বুধবার অক্ষয়তৃতীয়া। এই দিন বাড়িতে নানা ধরনের শুভ কাজ করা হয়। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল অটুট বা অক্ষত, অর্থাৎ যার কোনও ক্ষয় হয় না তাকেই অক্ষয় বলা হয়। তাই মনে করা হয়, এই দিন কোনও কাজ শুরু করলে সেই কাজটির কোনও ক্ষয় হবে না। সেটি মেনে এই দিন অনেকেই নানা শুভ কাজ শুরু করে থাকেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এমন কিছু টোটকা রয়েছে যা এই দিন পালন করলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
দেখে নেব টোটকাগুলি কী কী:
১) অক্ষয়তৃতীয়ার দিন সম্ভব হলে বাড়িতে আমপাতার চেন বা মালা তৈরি করে ঝুলিয়ে দিন। এই কাজটা সকালে স্নান করার পর করতে হবে। বাড়ির প্রধান দরজায় ঝোলাতে পারেন। সম্ভব হলে বাড়ির প্রত্যেকটা দরজাতেও ঝোলানো পারেন, খুবই ভাল ফল পাবেন।
২) এই দিন সকালে কাঁচা দুধ এবং গঙ্গাজল একসঙ্গে মিশিয়ে বাড়ির সদর দরজায় ছিটিয়ে দিতে হবে এবং একটা নতুন কাপড় দিয়ে দরজা মুছে দিতে হবে।
৩) এই দিন কোনও বয়স্ক পুরোহিতকে হলুদ বস্ত্র বা হলুদ রুমাল দান করুন।
৪) অক্ষয়তৃতীয়ার দিন বাড়িতে গোটা ধনে কিনে এনে মা লক্ষ্মীদেবীর সামনে রেখে পুজো করুন। পরের দিন সেই ধনেটা দু’ভাগে ভাগ করে নিয়ে, এক ভাগ লাল কাপড়ে মুড়ে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন, বাকিটা বাড়িতে কোনও পরিষ্কার স্থানে পুঁতে দিন।
আরও পড়ুন:
৫) এই দিন কয়েকটা জিনিস কেনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। যেমন সৈন্ধব লবণ, তুলো, সাদা সর্ষে, কড়ি। মাটির যে কোনও পাত্র বা মাটির প্রদীপ কিনে এনেও বাড়িতে জ্বালাতে পারেন। তবে এই কয়েকটা জিনিসের মধ্যে সাদা সর্ষে এবং সৈন্ধব লবণটা খাওয়া যাবে না। এগুলো কিনে এনে বাড়িতে রেখে দিতে হবে।
৬) এই দিন সম্ভব হলে রান্নাঘরের জন্য কেশর, হলুদের গাঁট, বেসন এবং ছোলার ডাল কিনে আনুন।
৭) এই দিন রুপো বা সোনার জিনিস কেনাও খুবই শুভ বলে মানা হয়।
৮) সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় রাখতে বিবাহিত মহিলারা এই দিন পাঁচ জন বিবাহিত মহিলাকে আলতা এবং সিঁদুর দান করুন।