জ্যোতিষীর কাছে বিচার করিয়ে নামী-দামি গ্রহ-রত্ন ধারণ করি। ছবি-প্রতীকী
আমরা বিভিন্ন অসুবিধা বা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে জ্যোতিষীর কাছে যাই। বিচার করিয়ে নামী-দামি গ্রহ-রত্ন ধারণ করি। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হলেও সব ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হয় না। জীবনধারা বা মানসিকতার কিছু পরিবর্তন এবং সচেতনতা গৃহের বাস্তু দোষ এবং গ্রহের কুফল থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আমরা অনেকেই পুরনো জিনিসের মায়া ত্যাগ করতে পারি না। কারও যেমন জুতো, বেল্ট, মানি ব্যাগের মতো চামড়ার জিনিস জমানোর শখ। অব্যবহৃত জুতো বা বেল্ট, মানি ব্যাগ সুন্দর করে জমিয়ে রাখি। আমরা জানতেও পারি না আমাদের শখ বা মায়ার কারণে গ্রহের কুদৃষ্টি বা কুপ্রভাবে জড়িয়ে যাচ্ছি। অনেকে পুরনো বৈদ্যুতিক বা বৈদ্যুতিন জিনিস, পুরনো অচল বা বন্ধ ঘড়ি ইতাদি জমিয়ে রাখি। সে জিনিস কখনওনই ব্যবহার করা যাবে না বা প্রয়োজন নেই। নেহাত শখ করে বা অবহেলা করেই জমা করি। শখ বা অবহেলা যা-ই হোক, গ্রহের কুদৃষ্টি বা কুপ্রভাব কিন্তু নিষ্কৃতি দেবে না।
বাড়ির বিভিন্ন স্থানে বিশেষত বইয়ের তাকে, রান্নাঘরে, শৌচালয়ে, স্টোররুমে ধুলো, ঝুল বা মাকড়সার জাল বাড়তে দিই। ধুলো, ঝুল বা মাকড়সার জাল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রহের কুপ্রভাব বা কুদৃষ্টির ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। অব্যবহৃত অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমালে গ্রহের কুপ্রভাবের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তু দোষ ও সৃষ্টি করে। অব্যবহৃত জুতো, চামড়ার জিনিস, অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বা বৈদ্যুতিন জিনিস, বন্ধ ঘড়ি, ধুলো, ঝুল বা মাকড়সার জাল জমলে রাহুর কুপ্রভাব পরে। বাড়িতে অব্যবহৃত জুতো, চামড়ার জিনিস, অব্যবহৃত বৈদ্যুতিন বা বৈদ্যুতিক জিনিস, ধুলো, ঝুল বা মাকড়সার জাল জমিয়ে যত দামি গ্রহ-রত্ন ধারণ করুন, গ্রহের অশুভ প্রভাব এবং বাস্তু দোষের থেকে নিষ্কৃতি অসম্ভব। গ্রহ-রত্ন ধারণের পূর্বে জীবনধারা এবং মানসিকতার পরিবর্তন করে সচেতন হয়ে গ্রহ-রত্ন ধারণ করুন পূর্ণ ফল প্রাপ্তি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy