গৃহে সূর্যের আলো ঢুকলে বাস্তু দোষের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। ছবি- সংগৃহীত
কথায় আছে, যে গৃহে সূর্যের আলো পৌছায় না, সে গৃহ বাস্তুসম্মত নয়। বাস্তু শাস্ত্রে সূর্যের আলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যই সব শক্তির আধার, সূর্য প্রধান আলোকশক্তির উৎস।
বাস্তু মতে, সূর্যের আলো অনেক বাস্তু দোষ নাশ করে, অর্থাৎ গৃহে সূর্যের আলো ঢুকলে বাস্তু দোষের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত সময়কে দুই ভাগে ভাগ করলে কম বেশি বেলা ১২টা মধ্য ভাগ বলা যেতে পারে। সূর্য উদয় হইতে বেলা ১২টা পর্যন্ত, অর্থাৎ দিনের প্রথম ভাগের সূর্যালোক তুলনামূলক ধনাত্মক ফল দান করে। অস্ত গামী সূর্যের আলো দিনের প্রথম ভাগের মতো শুভ ফল দান করে বলা যায় না।
সূর্যের আলো সাতটি রঙের সমাহার। সূর্যের সাতটি ঘোড়া (গায়েত্রি, ত্রিস্তুপ, অনুস্তুপ, জাগাতি, পাঙ্কতি, ব্রিহাতি, এবং উশ্নিক) সূর্যের সাত রশ্মি। বর্তমানে আবাসিক বাস্তু ক্ষেত্রে যেমন বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে, ব্যবসায়িক বাস্তু ক্ষেত্রে যেমন মল, বহুতলের বেশ কিছু স্থানে সূর্যের আলো পৌঁছয় না। আপাতদৃষ্টিতে এর কুপ্রভাব না বোঝা গেলেও এর কুপ্রভাব আছে। আবাসিক বাস্তুতে গৃহস্বামীর উপর অশুভ প্রভাব পড়ে। এ ছাড়াও মান সম্মান সামাজিক মর্যাদার উপর কুপ্রভাব দান করে। ব্যবসায়িক বাস্তুর ক্ষেত্রে মালিকের উপর, ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের উপর, প্রতিষ্ঠানের সুনামের উপর কুপ্রভাব দান করে।
প্রতিকার
যে ক্ষেত্রে কোন ভাবেই সূর্যের আলো পাওয়া যাবে না, সে ক্ষেত্রে পূর্ব দিকের দেয়ালে সূর্যদেবের ছবি স্থাপন করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy