অগ্নি প্রকৃতপক্ষে শক্তি বিশেষ। এর সক্রিয়তা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পরিব্যাপ্ত। সামান্য অগ্নি মুহূর্তের মধ্যে বিভীষিকাময় ত্রাসের সঞ্চার করতে পারে। প্রত্যক্ষ ভাবে সংযুক্ত না হলেও অগ্নি বাইরে থেকে ভিতরে কোনও জিনিসের তাপ সঞ্চালন করতে সক্ষম।
অগ্নি নিজেই নিজের শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। কিন্তু অগ্নি যত ক্ষণ আয়ত্তের মধ্যে থাকে তত ক্ষণই সে কাজের। আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে অগ্নি হয়ে যায় ধ্বংসের সূচক। অগ্নি কোনও জিনিসকে ধরবার সময় যতটা তৎপর, পরে কিন্তু আর ততটা তৎপরতা দেখায় না। কিছু ক্ষণ পরে অগ্নি যেন কিছুটা দপদপ করতে থাকে এবং অনেক সময় অর্ধদগ্ধ বস্তুকে পরিত্যাগ করে আরও একটা নতুন জিনিসকে ধরবার জন্য অগ্রসর হয়। একই সঙ্গে শতমুখ বিস্তার করে এবং বিভিন্ন উষ্ণতা সৃষ্টি করে বহু জিনিসকে এক সঙ্গে পোড়াতে সক্ষম। অগ্নির মতো এত ব্যাপক ক্ষমতা আর কোনও কিছুর মধ্যে দেখা হয় না।
অগ্নিশ্রেণির জাতক-জাতিকাও হন উপরিউক্ত প্রকৃতির। এখন দেখে যাক অগ্নিশ্রেণির করতল কী ভাবে শনাক্ত করবেন:
১। ছোট, সরু আঙুল।
২। ইষৎ লম্বাটে বা আয়তাকার। একপাশ সরু আর একপাশ চওড়া করতল।
আরও পড়ুন: রোহিণী নক্ষত্রের জাতকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, পেশা এবং পারিবারিক জীবন কেমন হয়
৩। বৃদ্ধাঙ্গুলি বেশ পরিণত, মাথার পর্বটিও বেশ বিকশিত।
৪। করতল রেখাবহুল। বিশেষ করে শিরোরেখা প্র্যাকটিক্যাল ধরনের। রেখাগুলো অপেক্ষাকৃত পৃথ্বীশ্রেণির তুলনায় সরু এবং গভীরতাও কম।
৫। ত্বক মোটামুটি ভাবে মসৃণ। করতলের নমনীয়তা প্রণিধানযোগ্য। রংও বেশ সজীব অর্থাৎ লাল বা গোলাপী আভাযুক্ত। অনেক সময় করতল ঈষদুষ্ণ মনে হয়।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদি কারও করতলে দেখা হয় তবে জাতক-জাতিকা হবেন অগ্নিশ্রেণির। জাতক-জাতিকার সঙ্গে অগ্নির এবং রাশিচক্রের অগ্নিঘরগুলোর হুবহু সাদৃশ্য পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy