(৬) ডেমনিক পজেসড হিউম্যান এনটিটি: যদি কখনও অশুভ সত্বা কোনও মানব শরীরে অনধিকার প্রবেশ করে, তখন তার সচেতন চলাফেরাকে সে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তার স্বাধীন সত্বা লোপ পাইয়। তখন সেই মানুষটি অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। সেই ভূতগ্রস্থ মানুষটি কোনও ভারি বস্তুকে সরাতে পারে, অন্য কোনও মানুষকে আঘাত করতে পারে, এমনকি তাকে খুনও করতে পারে। সে তখন একজন দৈত্যের মতো হয়ে ওঠে।
(৭) ডেমন: বাংলায় ডেমন শব্দের মানে দৈত্য। এই অশরীরী সত্বা সত্যিই দৈত্য, খুব শক্তিশালী অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা। এরা জোর করে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে যে কোনও বস্তুর সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে মিশে থাকে। এরা মানসিক ও দৈহিক অত্যাচার শুরু করতে থাকে। এই ভূতগুলি নিজেদের যে কোনও আকারে রূপান্তরিত করতে পারে। এদের সবথেকে সাধারণ যে রুপটি দেখা যায় তা হল, দরজার সামনে কালো বস্তুর মতো কিছু একটা দাঁড়িয়ে থাকতে। এরা যখন যেখানে থাক, একা থাকে না এদের সঙ্গে আরও অনেক ভূত দল বেঁধে থাকে। সাবধান, ভুলেও এদের চ্যালেঞ্জ করবেন না কারণ এরা আপনাকে মেরে ফেলতে পারে। সেই রকম ঘটনা ঘটেছে। বলছেন ভূত বিশেষজ্ঞরা।
(৮) শ্যাডো পিপল: এই ভূতগুলি বেশ অদ্ভুত। যেই মাত্র আপনি এদের দেখলেন চোখের পলকে এরা অদৃশ্য হয়ে গেল। যদি কখনও এদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়ে থাকে তখন, দেখবেন এই ভূতটি দেখতে জমাট অন্ধকার বা ছায়ার মতো। যেই আপনি ওই ছায়ার দিকে এগিয়ে গেলেন সঙ্গে সঙ্গে ওই ছায়া পিছিয়ে গেল বা মিলিয়ে গেল।
(৯) ক্রাউড ডেমন: এই ভূতগুলি সাধারণের ভীড়ে মিলেমিশে থাকে। এরা সেই সব স্থান বেছে নেয় যেখানে মানুষ গাদাগাদি করে বা দলবদ্ধ ভাবে থাকে। গবেষকেরা বলছেন, যখন এদের ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়, তখন এরা তাড়াতাড়ি আকার পাল্টে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জেনে রাখুন কত ধরনের ভূত আপনার চারপাশে বিরাজ করছে (প্রথম অংশ)
(১০) অ্যানিম্যাল ঘোস্ট: এই ভূতগুলির যখন আবির্ভাব হয় তখন পূর্ণ অবয়বযুক্ত ভৌতিক শরীর নিয়েই সামনে আসে। তবে এদের দেখার চেয়ে এদের উপস্থিতি বোঝা যায় নানা ধরনের আওয়াজের মাধ্যমে। এরা যে এসেছিল সেটা জানান দিতে এরা সব সময় নানা ধরনের দাগ কেটে রেখে যায় দরজায় বা দেওয়ালে। অথবা আঁচরের আওয়াজ করে বা নাকিসুরে কথা বলতে থাকে। কখনও বা আর্তনাদ করতে থাকে যার থেকে ভয়ের সৃষ্টি হয়।
(১১) ডপেলগ্যাঙ্গার: এটি জার্মান শব্দ। এর মাধ্যমে যে ভূতদের সম্বন্ধে বলা হচ্ছে তারা একই সঙ্গে তাদের অবয়বকে নানা স্থানে একই সময়ে প্রজেক্ট করতে পারে এবং সবকটি প্রজেকশান দেখতে একই রকম লাগবে। তারা একই ভাবে মুখভঙ্গী করতে পারবে। সবকটি মুখভঙ্গি দেখতে একই রকম হবে। এরা হয়তো আপনার প্রেমিকার অবিকল চেহারাকে, যে বেঁচে রয়েছে, নকল করে একই সময়ে অনেক স্থানে দেখাতে থাকলো। এমনকি খুব দূরে কোথাও হয়তো বেড়াতে গেছেন, দেখলেন সেখানেও আপনার প্রেমিকাকে। আপনি প্রথমে হয়তো তাকে দেখে থতমত খেয়ে যাবেন। তখন বুঝতে হবে ওখানে ডপেলগ্যাঙ্গার আছে। এটা তাদের কারসাজি।
(১২) লেমুর: এই লেমুর ভূতকে অ্যাংগ্রি ঘোস্ট বলে এদের যত্রতত্র ঘুরতে দেখা যায়। যেখানে অন্ধকার, যে স্থান অভিশপ্ত, সেই সব স্থানে এদের দেখা যায়। এরা অভিশপ্ত আত্মা কারণ কোনও কারণে এরা পরিণত বয়স অবধি বাঁচতে পারেনি। কোনও কারণে অল্প বয়সে মৃত্যু হয়েছে, তারপর এদের মৃতদেহ ঠিকমতো সৎকার হয়নি। এরা যে পরিবারে জন্মেছে সেখানে এদের মারা যাওয়ার আগে বা পরে ঠিকমতো দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। এরা যখন বেঁচেছিল তখন স্নেহ ভালবাসা থেকে বঞ্চিত ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy