ভূত বা অশরীরী সত্বা অবশ্যই প্যারানরমাল ঘটনার মধ্যে পড়ে। ভূতকে পাশ্চাত্যে অনেকে ডেড স্পিরিট বলে অভিহিত করেন। আমাদের দেশে প্রচলিত ভাবে বলা হয় আত্মা। ভারতে প্যারানরম্যাল ঘটনা নিয়ে সে ভাবে গবেষণা না হলেও পাশ্চাত্যে ভূত নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। আর একটি কথা মনে রাখবেন, আপনি ভূতকে এড়িয়ে যেতে পারেন, ভূত কিন্তু আপনাকে এড়িয়ে যাবে না। ওরা আপনার সমস্ত গতিবিধির উপর খুব কড়া নজর রেখে চলে। আপনার ভূতকে নিয়ে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস নিয়ে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ আপনার থেকে অশরীরী সত্বারা অনেক বেশি চালাক।
(১) পোলটারজিস্ট: প্রথমে যে ভূতটিকে আপনাদের সামনে আনব, তার নাম পোলটারজিস্ট, যাকে বাংলায় বলা যেতে পারে উপদ্রবকারী ভূত। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপে এর উপদ্রব খুব বেশি। এই জাতীয় ভূত আমাদের চারপাশের পরিবেশকে খুব সহজে কাজে লাগাতে পারে। এরা আপনার ঘরের জানালায় শব্দ করতে পারে, আপনার ড্রয়ার খুলতে পারে, ঘরের মধ্যে আসবারপত্র সরিয়ে ফেলতে পারে। আপনাকে জ্বালাতন করতে নানা ভাবে শব্দ সৃষ্টি করাই প্রথমে এদের লক্ষ্য থাকলেও পরবর্তীকালে এরা আপনার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত এরা ঘটিয়ে থাকে।
(২) ইন্টারঅ্যাক্টিভ পারসন্যালিটি: ইউরোপ ও আমেরিকায় এই ভূত আকছাড় দেখা যায়। এই ভূত আমাদের দেশের শহরে বা গ্রামে অনেক বাড়িতেই আছে। এরা আপনার খুব প্রিয়জন, যেমন মা, মাসি, কাকিমা, স্ত্রী বা স্বামী, ঠাকুরমা, প্রেমিক/প্রেমিকা, বা এমন কেউ যারা একসময় আপনাকে খুব ভালবাসতেন, তাদের আত্মা। এরা আপনার কাছে ফিরে ফিরে আসে সেই ভালবাসার টানে, বা কোনও কিছু জানাতে যাতে আপনি উপকৃত হতে পারেন। বলা যেতে পারে এরা আপনার পরিবারেরই একজনের মতো। এই জাতীয় অশরীরী সত্বা সম্বন্ধে গবেষণায় জানা গিয়েছে, এরা সাধারণত প্রিয়জনের কোনও ক্ষতি তো করেই না বরং নানা ভাবে উপকার করার চেষ্টা করে থাকে। বড় অদ্ভুত ব্যাপার, অনেক সময় এরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে বা তার উপস্থিতি জানান দিতে এক ধরনের গন্ধ বা ধোঁয়া ছেড়ে থাকে। এরা আপনাকে আরও বেশি সুখে থাকতে দেখতে চায়। এরা আবার শব্দ সৃষ্টি করতে বা কথা বলতে পারে। এরা সেই শরীর নিয়ে আপনার সামনে আসে মৃত্যুর আগে যে শরীরে আপনি তাকে চিনতেন। সেই আবেগ নিয়ে কথা বলে থাকে যে আবেগ নিয়ে মৃত্যুর আগে আপনি তাকে চিনতেন।
(৩) অর্বস: পাশ্চাত্য ভূতের জগতের আরেক কমন ভূত। এই ভূতদের নিয়ে অনেক গল্প আছে। এই ভূতগুলির অবয়ব ফটোগ্রাফিক প্লেটে ধরা পড়েছে।
এরা সাধারণত সাদা অথবা নীল রঙের অস্বচ্ছ বা অর্ধস্বচ্ছ গোলকার জ্বলন্ত আলো। অর্বস কথার মানেই হচ্ছে গোলাকার বলের মতো, ভাসতে ভাসতে এসে থাকে, কখনও ঝুলতে থাকে। এরা গোলাকার বলে সহজেই একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যেতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, এই পৃথিবীর মাটিতে যত দীর্ঘকাল এরা অবস্থান করবে ততই এদের অবয়ব গড়ে উঠবে। অর্বস সাধারণত মানব আত্মা বা জীবজন্তুর আত্মার অপছায়া। এরা এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাতায়াত করে থাকে।
আরও পড়ুন: বার অনুযায়ী কোন কাজ করা উচিত, কোনটা নয়
(৪) ফানেল ভূত: নামের সঙ্গেই এর অবয়ব সম্বন্ধে একটা ধারণা করা যায়। এই ভুতগুলি দেখতে প্রত্যেকেই অনেকটা ঘুরন্ত ফানেলের মতো ফটোগ্রাফিক প্লেটে এদের ছবি যেখানেই ধরা পড়েছে সেখানেই দেখা যাচ্ছে এই ভূতগুলি প্যাঁচালো আলোর মতো। এই ভূতগুলি কিন্তু আমাদের অতি প্রিয়জন, কিছু দিন আগে যারা মারা গিয়েছেন। এরা সাধারণত ভূত হিসেবে আশ্রয় নিয়ে থাকেন ঐতিহাসিক বা প্রাচীন কোনও বাড়িতে, কিংবা মৃত্যুর আগে যে বাড়ির ঘরে থাকত সেখানে।
(৫) এক্টোপ্লাজম বা ইকো-মিস্ট: এক্টোপ্লাজম কথাটার সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত কারণ, এক্টোপ্লাজম হচ্ছে কোষের বাইরের আবরণ যা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়। এই ভূতগুলি যখন আমাদের সামনে উপস্থিত হয়, তখন এরা মাটি থেকে বেশ কয়েক ফুট উপরে অবস্থান করে ঘুরন্ত কুয়াশার মতো। ধোঁয়া ধোঁয়া লাগে দেখতে। বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে। খুব দ্রুত চলতে পারে। এরা বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তার মধ্যে যে রংগুলি গবেষকেরা দেখেছেন তা হচ্ছে,সাদা, ধূসর আর কালো। এরা সাধারণত বাড়ির বাইরে কবরখানা, যুদ্ধক্ষেত্র ও ঐতিহাসিক স্থানে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy