বাড়ির ব্রহ্মস্থান কেমন রাখা উচিত

প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ব্রহ্মস্থানে কি কি করতে নেই
যে কোনও ব্রহ্মস্থান সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত।
এই স্থানে কোনও গর্ত, থাম, পয়ঃপ্রণালীর চেম্বার, পাতকুয়ো, আবর্জনা প্রভৃতি করা যাব না।
বাস্তুতে, গৃহে, শোবার ঘরে, কলকারখানায় বা যে কোনও স্থানে ব্রহ্মস্থান সবসময় খালি রাখতে হবে।
এই স্থানে কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
ব্রহ্মস্থানে ছোট ফুলের গাছ রাখা যেতে পারে।
অফিসের ব্রহ্মস্থানটিতে মিটিং বা কনফারেন্স গৃহ করা যায়।
ব্রহ্মস্থানে কোনও জুতো, নোংরা বস্তু, এঁটো ফেলা বা রাখা উচিত নয়।
ব্রহ্মস্থানে কোনও চেয়ার, টেবিল, শোফা না রাখাই উচিত।
ফ্ল্যাটবাড়ি বা ছোট গৃহে যেখানে ব্রহ্ম স্থান খালি রাখার কোনও জায়গা নেই, সেই জায়গাটিতে বা গৃহটিকে লিভিংরুম করা যায়।
কলকারখানার ব্রহ্মস্থানটিতে কোনও ভারী জিনিসপত্র রাখা যাবে না।
কলকারখানার ব্রহ্মস্থানটিতে মন্দির করা যেতে পারে। ঠাকুরের মুখ যেন পুর্বদিকে থাকে।
ব্রহ্মস্থানটিকে উঠোন বা লন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অফিস ঘরের ব্রহ্মস্থানটিতে বিগ্রহ রাখা যেতে পারে।
কোনও কোনও সময় দেখা যায় যে, ব্রহ্মস্থানের যে স্থানে ক্ষতি হয়, বসবাসকারিদের দেহে ঠিক সেই স্থানে ক্ষতি হয়ে থাকে।
বাড়ির বা বাস্তুর পূর্বদিক নীচু হলে বংশ বৃদ্ধি হয়। উত্তরদিক নীচু হলে ধন বৃদ্ধি হয়। দক্ষিনদিক নীচু হলে রোগ সৃষ্টি হয় এবং বংশ বৃদ্ধিতে বাধা আসে। পশ্চিমদিক নীচু হলে ধনক্ষয় হয়।
শাস্ত্রীয় মতে বাড়ির চারটে দিক প্রধান দিক। তার মধ্যে গুরুত্ব পূর্ণ স্থান হল ব্রহ্মস্থান। এই স্থানটিকে বাড়ির নাভিস্থান বলা হয়। তাই বাড়ি করার সময় মনে রাখতে হবে ব্রহ্মস্থানে যেন কোনও রকম আঘাত না লাগে। এই স্থান যেন অক্ষত থেকেই বাড়িটি তৈরি করা হয়। ব্রহ্মস্থান যেমন বাড়ির হয়, তেমন আবার ব্রহ্মস্থান ঘরেরও হয়। যে কোনও ঘরের মাঝখানটা সেই ঘরের ব্রহ্মস্থান।