চোখ দেখেই সহজে বুঝে নেওয়া যায় কোনও ব্যক্তির প্রকৃতি ও চারিত্রিক ধরণ সম্পর্কে।
কথায় বলে ‘চোখই হল মনের আয়না’। মানুষের মনে কোনও বিষয়ের উৎপত্তি হলে তা তার মস্তিস্ক, চিন্তা ও অনভূতির উপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এই প্রভাবের ফলশ্রুতিই ব্যক্তির চোখের উপর ক্রিয়া করে। তাই চোখ দেখেই সহজে বুঝে নেওয়া যায় কোনও ব্যক্তির প্রকৃতি ও চারিত্রিক ধরণ সম্পর্কে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বিভিন্ন ধরণের দোষ গুণের সমাহার থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রহের ভিন্ন ধরনের প্রভাব আছে। এই সব প্রভাব গুলিই মানুষের মনের উপর ক্রিয়া করে। এরফলেই মানুষের মনে পৃথক পৃথক চিন্তা ভাবনার সৃষ্টি হয়। আর এই চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী মানুষ নিজের পরিকল্পনা তৈরি করে। চোখের উপর কোনও গ্রহের প্রভাব এবং সেই প্রভাবে মানুষের চোখের আকার, বর্ণ ইত্যাদি কিরকম হতে পারে একাবার দেখে নেওয়া যাক —
আপনার চোখ যদি রবির প্রভাবাধীন হয়ে থাকে তবে তার আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জেনে নিন- রবির প্রভাবাধীন চোখের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। এই চোখের ‘আই বল’ অর্থাৎ চোখের মণিটি একটু উপরের দিকে ওঠানো অবস্থায় থাকে। তার ফলে মণির নীচে দিকে কিছুটা সাদা অংশ দেখা যায়। সম্পূর্ণ চোখটিকে আধ বোজা বা অর্ধ উন্মীলিত বলে মনে হবে। একে ‘শিবচক্ষু’ বলা হয়।
এদের চোখ দুটি দেখে মনে হতে পারে যে এই চোখের অধিকারী জাতকেরা প্রকৃতিতে বেশ ভাবুক ধরনের। কিন্তু বাস্তবে তা নয়, বরং ঠিক এর উল্টোটাই সত্য। এরা মানসিক দিক থেকে বেশ কঠোর মনের অধিকারী হয়ে থাকে।নিজের মনের বিষয়কে নিজের মধ্যেই চেপে রাখতে এরা সিদ্ধহস্ত হয়। সমস্ত বিষয়কে অন্তর থেকে বোঝার এক অদ্ভুত ক্ষমতাও এদের মধ্যে থাকে। এরা চট করে কোনও বিষয়কে মাথায় নিয়ে নিলেও সেটাকে নিজের বাহ্যিক আচার আচরণের মধ্যে প্রকাশ হতে দেয়না। অনেক সময়েই এদের আসল মনের কথা বোঝা শক্ত হয়ে যায়। এদজের দেখে খুব নরম মনের মানুষ ভাবা খুব ভুল হবে, কারণ এরা মোটেও ভাবুক প্রকৃতির হয় না। এদের মনের মধ্যে মোটামুটি সব কিছুরই সঠিক সংমিশ্রণ থাকে। এরা নিজের উন্নতি বা লক্ষ্য পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে থাকে।
বিঃ দ্রঃ- এই পর্যায়ভুক্ত চোখের অধিকারী হলেন অমিতাভ বচ্চন ও অজয় দেবগন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy