এক ব্যায়ামেই জব্দ হবে মেদ। ছবি: সংগৃহীত।
হাতে সময় কম। বাড়ি ফিরে ব্যায়াম করতে মোটেই ভাল লাগে না। তাই পাঁচ মিনিট বা দশ মিনিট— সকালে যতটুকু সময় বাঁচে, শরীরচর্চা করে ফেলেন। শুরুতেই কঠিন ব্যায়াম করা যায় না। একটু ওয়ার্ম আপ করতে হয়। ধরে ধরে ওয়ার্ম আপ করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। কোনটা করবেন, আর কোনটা বাদ দেবেন তাই নিয়ে রোজই নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে। ঠিক মতো শরীরচর্চা করলে শুধু যে হাত-পা সচল থাকে, তা-ই নয়। শারীরিক অনেক সমস্যাই নিরাময় হয়। প্রতিটি সমস্যার জন্য আলাদা আলাদা ব্যায়ামও রয়েছে। প্রতি দিন সবক’টা ব্যায়াম যদি করা সম্ভব না হয়, তা হলে কী করবেন? প্রশিক্ষকেরা বলছেন, যাঁদের প্রতি মাসে ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট লেগেই থাকে, তাঁদের নির্দিষ্ট একটি ব্যায়াম করতেই হবে। সেটি হল মালাসন। ইংরেজিতে যাকে ‘গারল্যান্ড পোজ়’ বলা হয়।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা-যন্ত্রণা লাঘব করতে এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। তবে, নেটপ্রভাবী প্রশিক্ষক মনুশ্রেয়া শর্মা বলছেন, কোমর, হাঁটু, হ্যামস্ট্রিং এবং পেটের পেশি মজবুত রাখতেও এই ব্যায়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ বসে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের জন্যেও মালাসন কার্যকরী। হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিরাময় করতে পারে। একটা বয়সের পর মেয়েদের মূত্রথলির পেশির সক্রিয়তা কমে আসে। ফলে মূত্র ধরে রাখতে সমস্যা হয়। নিয়মিত মালাসন করলে এই সমস্যাও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও এই একটি ব্যায়াম অভ্যাস করা সব বয়সিদের জন্যেই ভাল।
কী ভাবে করবেন এই আসন?
১) প্রথমে মাটিতে বসুন। পিঠ যেন টান টান থাকে।
২) তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে, হাঁটু মুড়ে উবু হয়ে বসুন।
৩) দু’পা যথা সম্ভব কাছাকাছি রাখুন।
৪) হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করুন।
৫) প্রণাম করার ভঙ্গিতে দু’টি হাত এমন ভাবেই রাখবেন যেন দু’টি কনুই দুই হাঁটু স্পর্শ করতে পারে।
৬) টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy