ফ্রিজে রাখার পরেও আইসক্রিম জমাট বাঁধছে না কেন? — প্রতীকী ছবি।
এই গরমে বাড়ি বসে প্রায়ই অনলাইনে আইসক্রিম অর্ডার দিচ্ছেন। দোকান থেকে এতটা রাস্তা আইসক্রিম আনতে গেলে একটু গলে যাওয়া স্বাভাবিক। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে এক দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীর হাত থেকে জিনিসটি নিয়ে সোজা ফ্রিজে চালান করে দিলেন। খানিক ক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আবার আগের মতো হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোথায়? এত ক্ষণ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পরেও আইসক্রিম জমেনি। উল্টে তা গলে গিয়েছে এবং আইসক্রিমের মধ্যে থাকা তৈলাক্ত পদার্থ ভেসে উঠেছে। এমন আইসক্রিম খাওয়া কি ক্ষতিকর? দাম দিয়ে কেনা আইসক্রিম তা হলে ফেলে দিতে হবে?
সম্প্রতি এক ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী এই বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে কেনা আইসক্রিমের এমন অবস্থা দেখেই তাঁর মনে সন্দেহ হয়। চড়া রোদে রাস্তা দিয়ে আইসক্রিম আনতে গেলে তা গলে যেতে পারে। কিন্তু, তা থেকে এমন তেল ভেসে উঠতে পারে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আপাত ভাবে দেখে মনে হতে পারে, গরমে আইসক্রিম গলে গিয়েছে। কিন্তু আদতে তা নয়। জমাট বাঁধা আইসক্রিম থেকে যদি তৈলাক্ত তরল, ফেনা আলাদা হতে শুরু করে, তা হলে এমন খাবার না খাওয়াই ভাল।
অভিজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা দু’টি কারণে হতে পারে। প্রথমত, বাইরের তাপমাত্রা। ফ্রিজ়ারের (-১৮) তাপমাত্রা থেকে সরাসরি রোদের মধ্যে আইসক্রিম বার করলে তা গলে যেতে পারে। আবার, এমনটাও হতে পারে যে, আইসক্রিম ভর্তি বাক্সটি দীর্ঘ দিনের পুরনো অর্থাৎ তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় এসেছে।
এই ধরনের আইসক্রিম খেলে কি শরীরের কোনও ক্ষতি হতে পারে?
আইসক্রিম ভাল রাখার জন্য ফ্রিজ়ারে নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রা রয়েছে। সেখান থেকে বার করে দীর্ঘ ক্ষণ গরম আবহাওয়ায় ফেলে রাখলে তার মধ্যে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ‘লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিন্স’ বাসা বাঁধতে পারে। সেই আইসক্রিম খেলে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ ছাড়া এই ধরনের আইসক্রিম খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা ‘আইবিএস’-এও আক্রান্ত হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy