চোখে চালশে পড়তে আজকাল আর চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন ল্যাপটপে কাজ। মাঝেমধ্যে সমাজমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেওয়া। আর বিনোদন বলতে বাড়ি ফিরে স্মার্ট টেলিভিশন কিংবা মুঠোফোনে সিরিজ় কিংবা সিনেমা দেখা। রোজের এই রুটিনে অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। এর মাঝে যদি চোখ থেকে সমানে জল পড়ে, মাথা ধরে কিংবা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে, তা আর অস্বাভাবিক কী? ছোট লেখা পড়তে যদি অসুবিধে হয় তা হলে বুঝতে হবে নাকের ডগায় চশমা চলে এসেছে। চোখে চালশে পড়তে আজকাল আর চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। তবে এ সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকলে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা যায়। এমন কিছু শুকনো ফল এবং বাদাম রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। সেগুলি কী কী?
১) কাঠবাদাম:
বয়স বা চোখের স্নায়ুজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে কাঠবাদাম। এই বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে কোনও ধরনের বাদামেই ভিটামিন ই রয়েছে। তবে, কাঠবাদামে এই ভিটামিনের পরিমাণ বেশি।
২) আখরোট:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখের কোষের মেমব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত আখরোট খেলে সেই আশঙ্কাও কমে।
৩) পেস্তাবাদাম:
মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত ‘ব্লু লাইট’ থেকে চোখের ক্ষতি রুখে দিতে পারে পেস্তাবাদাম। ‘লুটেইন’ এবং ‘জ়িজ়্যানথিন’ নামক বিশেষ দু’টি উপাদান রয়েছে পেস্তাবাদামে। যা চোখের বয়সজনিত রোগ ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৪) কাজুবাদাম:
দৃষ্টিশক্তি জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল জ়িঙ্ক। রেটিনা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা আগে থেকে রোধ করা যায় নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে।
৫) কিশমিশ:
কিশমিশে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা দু’টি চোখের উপর ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব পড়তে দেয় না। ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy