কনকনে শীতে সকালে বাইরে হাঁটতে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে যাওয়ার উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমানো— সকাল সকাল কিছুটা পথ হাঁটলেই সুস্থ থাকা যায়। চিকিৎসকেদেরও তেমন মত। সকালে হাঁটার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর হলেও শীতকালের বিষয়টি খানিক আলাদা। শীতে ফিট থাকতে শরীরচর্চা করা একান্ত জরুরি। তবে শীতের কুয়াশামাখা সকালে বাইরে হাঁটতে যেতে বারণ করছেন স্বয়ং চিকিৎসকেরাই। কনকনে শীতে সকালে বাইরে হাঁটতে গিয়ে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে বাইরে হাঁটতে না গেলেও বাড়িতেই শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি।
ঘরে হোক কিংবা বাইরে— শীতকালে ফিট থাকার অন্যতম পথ হল শরীরচর্চা করা। তবে ঠান্ডায় এই কাজটি ঘরে বসে করলেই ভাল। তা হলে শরীরের যত্ন নেওয়া হয়, আবার ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে না।
ঘরে বসে শরীরচর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। হালকা ব্যায়াম, যোগাসন করতে পারেন। তবে কিছু কাজও বেশ পরিশ্রমসাধ্য। ঘাম ঝরাতে বাড়ির কাজেও হাত লাগাতে পারেন। ব্যায়াম, যোগাসনের সঠিক ভঙ্গি শিখতে পারেন বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে। শরীরচর্চা করলে যে শুধু শারীরিক ভাবে ফিট থাকা যায়, তা তো নয়। চাঙ্গা এবং চনমনে থাকতেও শরীরচর্চা করা জরুরি।
নাচও কিন্তু দারুণ একটি শরীরচর্চা। তার মানে এই নয় যে, নাচের পেশাদার প্রশিক্ষণ লাগবে। গান চালিয়ে যে ভাবে নাচতে ইচ্ছা করছে, সে ভাবেই নাচতে পারেন। সকালে হাঁটার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হবে। স্ট্রেচিং করতে পারেন। সেটাও সকালে হাঁটার বিকল্প হতে পারে।
শীতে নিজেকে ফিট রাখতে হালকা ডায়েটও করতে পারেন। খাওয়াদাওয়ায় খানিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাইরের খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই শ্রেয়। ফিট থাকা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। তবে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মানলেও শরীরচর্চার অভ্যাস ত্যাগ করলে হবে না। কারণ, শীতের সকালে হাঁটার বিকল্প হতে পারে ঘরে বসে শরীরচর্চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy