খেজুরকে বলা হয় রাজকীয় ফল। শুধু অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের জন্য নয়, খেজুরের খ্যাতি রোগ নিরাময়ের জন্যও। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট— কী নেই খেজুরে! এই খেজুর তো খাচ্ছেন, নাম জেনে খাচ্ছেন কি? দোকান থেকে যে খেজুর কিনে আনেন তার নাম জানেন তো? অনেক রকমের খেজুর হয়, তাদের আকার, স্বাদ ও পুষ্টিগুণও আলাদা। কোনটি খেলে কী উপকার হবে, কোন খেজুরে ওজন কমবে, তা জেনে রাখা ভাল।
ডেগলেট নূর
মাঝারি আকারের, নরম হয়। এমন খেজুরই বেশি পাওয়া যায় বাজারে। ডেগলেট নূরে শর্করার মাত্রা খুব কম, বদলে ফাইবার বেশি। এই খেজুর খেলে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁকও কমবে আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবারও ঢুকবে। মেদ কমাতে খুবই উপযোগী এই খেজুর। মিষ্টি কম থাকায়, ডায়াবিটিসের রোগীরাও খেতে পারেন এই খেজুর।
আরও পড়ুন:
বারহি
বারহি খেজুর একটু হলদেটে হয়। মাঝারি আকার। এই খেজুরও ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতি একশো গ্রাম বারহি খেজুরে থেকে পাওয়া যেতে পারে ২৮২ কিলো ক্যালোরি শক্তি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। যাঁরা ওজন কমাতে কঠোর ডায়েট করছেন, তাঁরা সকালে এই খেজুর খেতেই পারেন। এটি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। হজম ভাল হবে।
আজওয়া
মধ্যপ্রাচ্যে এই খেজুরের চল বেশি। সৌদি আরবে খুবই জনপ্রিয় আজওয়া খেজুর। রং কালচে হয় এবং এতে মিষ্টির পরিমাণ অন্যান্য খেজুরের থেকে সামান্য বেশি। আজওয়া খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে এবং হজমশক্তি ভাল হয়। ফাইবারে ভরপুর এই খেজুর পরিমিত পরিমাণে খেলে তা ওজন কমানোর জন্যও সহায়ক হতে পারে।
আরও দু’রকম খেজুর বাজারে পাওয়া যায়— সুক্কারি ও মেডজুল। কিন্তু এই দু’রকম খেজুরেই প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে, তাই খেতে সুস্বাদু হলেও তারা ওজন কমানোর জন্য উপযোগী নয়।