সাঁতার কাটুন নিয়ম করে এবং এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ছবি:সংগৃহীত।
জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোই শরীরচর্চার শেষ কথা নয়। অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা কখনও জিমের চৌকাঠ পেরোননি। অথচ যথেষ্ট ফিট। খোঁজ নিলে জানা যাবে অনেকেই আসলে নিয়ম করে সাঁতার কাটেন। ফিটনেস প্রশিক্ষকদের মতে, সাঁতার কাটার কোনও বিকল্প হয় না। ফিটনেস বজায় রাখতে সাঁতার কাটা জরুরি। নিজেকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে সারা বছরই তাই দিনের কিছুটা সময় জলে কাটান অনেকে।
নিয়ম করে সাঁতার কাটা যাঁদের অভ্যাস, তাঁরা জানেন, জলে কিছু ক্ষণ দাপিয়ে বেড়ানোর পর প্রচণ্ড খিদে পেয়ে যায়। জল ছেড়ে উঠেও খিদেতে পেট চুঁইচুঁই করেন অনেকেরই। তখন যদি খালি পেটে থাকেন, তা হলে মুশকিল পড়তে হতে পারে। তাই বলে জলে নামার আগে ভরপেট খেয়ে নামবেন, সেটাও ঠিক নয়। ভারী খাবার খেয়ে সাঁতার কাটলে পেটের উপর চাপ পড়ে। সেই সঙ্গে নানা রকম সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। সাঁতার কাটার আগে এবং পরে কী খাবেন, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। আদৌ কোন খাবারগুলি খেলে সাঁতার কাটার পরিশ্রম একেবারে পণ্ড হয়ে যেতে পারে, সে সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই অনেকের। জানা থাকলে সুবিধা হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে হালকা খাবার খেতে হবে। বাদাম, তাজা ফল, টক দই, চা-কফি— এ ধরনের খাবার এ সময়ে খাওয়া যায়। সকালে সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। তাতে অনেকটা পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। সাঁতার কাটার সময়ে সতেজ থাকা যায়। সহজে দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে না। তা ছা়ড়া, একটি ডিমও খেতে পারেন। এতে নানা ধরনের উপাদান থাকে। ডিমের প্রোটিন কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সাঁতার কেটে উঠে কী খাবেন?
সাঁতার কাটার পর প্রায় তিরিশ শতাংশ বেড়ে যায় বিপাক হার। এ সময়ে ভারী খাবার খাওয়া দরকার। ভরপেটও খেয়ে নেওয়ার জন্যও আদর্শ। যে সব খাবারে কার্বোহাইড্রেট আছে বলে খেতে চান না, তা এ সময়ে খেতে পারেন। ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। সাঁতার কেটে আসার পর মাছ অথবা মাংস দিয়ে ভাত খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। তা হলে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট, দুই-ই ভরপুর পরিমাণে পাবে শরীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy