শুধু চিনি খাওয়া বন্ধ করলে রোগা হওয়া সম্ভব নয়। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হতে চাইলে জীবন থেকে অনেক কিছু বাদ দিতে হয়। চিনি তার মধ্যে অন্যতম। চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলেই ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়। পুষ্টিবিদদেরও একই মত। শরীরচর্চা না করা, ঘুমের ঘাটতি, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, মানসিক চাপ— ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে এই কারণগুলি ছাড়াও অত্যধিক চিনি খাওয়ার অভ্যাসেও রয়েছে। তাই ওজন ঝরানোর পর্বে প্রথমেই চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে। মিষ্টি, চকোলেট তো নয়-ই, এমনকি, চায়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন। ইদানীং ‘নো সুগার ডায়েট’ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া মানেই যে ডায়েট সফল, তা কিন্তু নয়। এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলিতে চিনির পরিমাণ বেশি। এই ধরনের ডায়েট করলে সে রকম খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আবার কিছু খাবার ডায়েটের মেনুতে রাখলে রোগা হওয়া সহজ হবে। কোন খাবারগুলির মাধ্যমে শরীরে চিনি প্রবেশ করতে পারে?
প্রক্রিয়াজাত খাবার
কুকিজ, ক্যান্ডি, চিপ্স নো সুগার ডায়েটে থাকলে না খাওয়াই শ্রেয়। কারণ এই খাবারগুলিতে ভরপুর পরিমাণে চিনি রয়েছে। সরাসরি চিনি খাচ্ছেন না, অথচ এই খাবারগুলি খাচ্ছেন, তাতে আখেড়ে কোনও লাভ হবে না।
শর্করাজাতীয় খাবার
টম্যাটো সস্, বার্বিকিউ সস্, স্যালাড ড্রেসিং-এর মতো কিছু খাবারে ঠাসা শর্করা আছে। চিনি খাওয়া বন্ধ করলে এগুলি খাওয়াও ছাড়তে হবে। নয়তো চিনি না খাওয়ার কোনও সুফল পাবেন না।
ড্রাই ফ্রুটস
শরীরের জন্য ড্রাই ফ্রুটস উপকারী হলেও ডায়েটের পর্বে এগুলি না রাখলেই ভাল। কারণ ওজন বৃদ্ধি করতে ড্রাই ফ্রুটস যথেষ্ট। কিশমিশ, খেজুরের মতো কিছু ড্রাই ফ্রুটসে চিনি আছে ভরপুর পরিমাণে। নো সুগার ডায়েট করলে এগুলি এড়িয়ে চলাই জরুরি।
কোনগুলি খাবেন?
প্রোটিন
চিকেন, মাছ, টোফু হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেও এই খাবারগুলি খান বেশি করে। কম সময়ে ওজন ঝরাতে প্রোটিনের ভূমিকা অনবদ্য। যত বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, ওজন কমানো তত সহজ হয়ে যাবে।
বাদাম
কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, তিসির বীজে চিনির পরিমাণ তলানিতে। নেই বললেই চলে। উপরন্তু এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান। এই উপাদানগুলি শরীরে পুষ্টি জোগায়। শরীর চাঙ্গা রাখে।
সবুজ শাকসব্জি
পালং শাক, ব্রকোলিতে শর্করা কম। তা ছাড়া এই সব্জিগুলিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে। আয়রন এবং ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ সব্জিগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সহজে ওজনও বাড়তে দেবে না।
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ডায়েটের ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy