ছবি: প্রতীকী
ঘুমের মধ্যে রাত-বিরেতে হঠাৎ ফোন বাজতে শুনলেই বুক ধড়ফড় করে ওঠে। সাধারণত বিপদের কোনও খবর না হলে এমন সময়ে কারও ফোন আসে না। কিন্তু খাট থেকে নেমে যে ফোন ধরবেন, সে উপায় নেই। ভয়ে এমন সারা শরীর কাঁপতে শুরু করল যে ফোন ধরতে গেলেও হাত থেকে পড়ে একাকার অবস্থা। আবার ঊর্ধ্বতনের নাম ফোনের পর্দায় ফুটে উঠতে দেখলেই কেউ কেউ ভয়ে সিঁটিয়ে যান। হাতের সামনে ফোন থাকা সত্ত্বেও ধরতে ভয় পান। মনোবিদেরা বলছেন, এ ধরনের উদ্বেগ বা ভয়কে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘ফোন অ্যাংজ়াইটি’ বা ‘টেলিফোবিয়া’ বলা হয়। শুধু বড়দের নয়, ছোটদের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা হতে পারে। স্কুল থেকে বা গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে মা-বাবার কাছে ফোন আসতে দেখলে এমন সমস্যা শিশুদেরও হতে পারে। অনেকেই এই সমস্যাটিকে রোগের পর্যায়ে ফেলতে চান না। বুঝে উঠতে পারেন না, এটি আদৌ কোনও সমস্যা কি না। তবে ২০১৯ সালে করা একটি সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, লন্ডনের বেশির ভাগ অফিস কর্মীই এমন উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছেন। যার প্রভাবে পেশাগত জীবন তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ধরনের উদ্বেগের লক্ষণগুলি কি বাইরে থেকে বোঝা যায়?
১) হাতের কাছে ফোন থাকা সত্ত্বেও ফোন ধরতে ভয় পাওয়া।
২) এ ধরনের সমস্যা হলে ফোন ধরে কী বলবেন, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই।
৩) ফোনে কথা বলার পরেও সেই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়।
কী ভাবে এই উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?
এই সমস্যা কোনও ওষুধে কাটানো সম্ভব নয়। বরং উদ্বেগের কারণগুলি খুঁজে বার করতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে তার জন্য অভিজ্ঞ মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy