ছবি: প্রতীকী
বর্ষায় পেটের রোগ সারতে না সারতেই জ্বরের প্রকোপ শুরু। কোথাও কিছু নেই, হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। বৃষ্টির জলে ভিজে, ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে জ্বর আসার কথাই প্রাথমিক ভাবে মনে আসে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে জ্বরের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও তা ভাইরাল বলে ধরে নেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। কারণ, ভাইরাল জ্বরের মতোই বর্ষায় কিন্তু মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়। রাস্তার খানাখন্দ, নর্দমা, বাড়ির আশপাশে জল জমে থাকতে দেখা যায়। বর্ষার জমা জলেই মশারা তাদের সংসার বিস্তার করে। তাই এই সময়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার সমস্যা দেখা যায় বেশি।
সাধারণ জ্বর না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?
এডিস মশা কামড়নোর প্রায় ৫ থেকে ৬ দিন পর লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে আরম্ভ করে। খুব বেশি জ্বর, মাথা এবং চোখের পিছন দিকে ব্যথা, শরীরের পেশি এবং অস্থিসন্ধিতে অসহ্য যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়াও ডেঙ্গি হলে অনেকেরই গায়ে লাল লাল র্যাশ বেরোতে দেখা যায়। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে দেখা যায়।
সঠিক সময়ে ধরা পড়লে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের তীব্রতা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কী কী করতে হবে?
১) মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য গা ঢাকা পোশাক পরতে হবে। খুব ভাল হয়, যদি হালকা রঙের পোশাক পরা যায়। কারণ, গাঢ় রঙের পোশাক মশাদের আকৃষ্ট করে।
২) বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে জল জমতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্ধের পর জানলা, দরজা বন্ধ করে যাতে মশা ঘরে ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। রাতে মশারি টাঙাতে পারলে আরও ভাল হয়।
৩) জ্বর এলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, চিকিৎসা শুরু করার আগে রোগ নির্ণয় করা জরুরি।
৪) বাচ্চাদের স্কুলে বা পার্কে খেলতে পাঠানোর সময়ে ‘মসকুইটো রেপেলেন্ট’ ক্রিম মাখাতে পারেন। তবে তার আগে দেখে নিতে হবে, তা ত্বকের জন্য নিরাপদ কি না।
৫) জ্বরের সময়ে বেশি করে জল এবং পানীয় খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীরকে আর্দ্র রাখতে পারলে রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিক রাখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy