মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: সংগৃহীত।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সঞ্চালক আকাশ চোপড়া। সময়টা ২০০৪ সাল। জ়িম্বাবোয়ে এবং কেনিয়া সফরে গিয়ে একই হোটেল ঘরে ছিলেন আকাশ এবং মাহি। আকাশ নিরামিষভোজী। আকাশ জানিয়েছেন, ধোনি নাকি তাঁর সঙ্গেই টানা এক মাস নিরামিষ খেয়েছিলেন। এমনকি বাইরে থেকে আমিষ কোনও খাবার আনিয়েও তিনি খাননি। খেলোয়াড়দের খাওয়াদাওয়া নিয়ে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকে। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সব কিছুই মাপ মতো খেতে হয়। বিশেষ করে প্রাণিজ প্রোটিন খেলোয়াড়দের ডায়েটে থাকতেই হয়। সেখানে কেরিয়ারের মধ্যগগনে এক মাস ধোনির আমিষ না খেয়ে থাকার বিষয়টি জানার পর থেকেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধোনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কি না, সেটা অবশ্য জানার কোনও উপায় নেই। তবে এমনিতে হঠাৎ করে নিরামিষ খেতে শুরু করলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেব বলেন, ‘‘নিরামিষ খাবার খাওয়া মানেই সমস্ত পুষ্টি থেকে শরীর বঞ্চিত হচ্ছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। নিরামিষ খাবারেও রয়েছে পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যগুণ।’’
খেলোয়াড় হোক কিংবা সাধারণ মানুষ— উচ্চতা, পেশা, দৈহিক ওজনের মতো কিছু মাপকাঠির উপর ভিত্তি করেই ডায়েট তালিকা তৈরি করা উচিত। খাদ্যাভ্যাসের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমিষভোজী থেকে হঠাৎ করে নিরামিষাশী হলে শরীর কি পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়? অর্পিতার কথায়, ‘‘প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস হল প্রাণিজ খাবার। মাছ, মাংস, ডিমে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে দুগ্ধজাত খাবার, সব্জি-ফলে ততটা থাকে না। ফলে আমিষ খাবার ছেড়ে যদি কেউ নিরামিষ খাবারের দিকে ঝোঁকেন, তা হলে প্রোটিনের একটা ঘাটতি তৈরি হতে পারে। সেখান থেকেই চুল পড়া, ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কয়েক দিন অথবা মাসখানেক একটানা নিরামিষ খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy