উপুড় হয়ে ঘুমানোর ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে মেরুদণ্ডে। ছবি- সংগৃহীত
উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে অনেকেই এমন ভাবে বিশ্রাম নিতে পছন্দ করেন। আবার ছুটির দিনে এ ভাবে আধশোয়া হয়ে শুয়েও বই পড়তে ভালবাসেন কেউ কেউ। ঘুমের ঘোরেও অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। উপুড় হয়ে ঘুমানো নিঃসন্দেহে আরামদায়ক ভঙ্গি। নাক ডাকার প্রবণতা এতে নাকি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উপুড় হয়ে ঘুমানো অনেকেরই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এ ভাবে না ঘুমালে অনেকের আবার ঘুমই আসতে চায় না। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও, নানা শারীরিক সমস্যা জন্ম নেয় এর ফলে।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে মেরুদণ্ডে। পেটে চাপ দিয়ে ঘুমানোর ফলে মেরুদণ্ডের অবস্থান সব সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে থাকে না। কারণ এ ভাবে শোয়ার ফলে শরীরের পুরো ওজনটাই পেটের উপর পড়ে। দীর্ঘ দিন এমন ভঙ্গিতে ঘুমালে মেরুদণ্ডে চিড় ধরার আশঙ্কা থাকে। ঘাড়ের পেশিতেও টান পড়ে। ফলে ঘাড়, পিঠ এবং কাঁধের ব্যথাতেও ভোগেন অনেকে।
ব্যথা-বেদনা ছাড়াও উপুড় হয়ে ঘুমালে ঘুমের মান ভাল হয় না। মাঝেমাঝেই ঘুম ভেঙে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। বেশি ক্ষণ ঘুমাতে চাইলে সোজা হয়ে ঘুমানোই শ্রেয়।
সকালে উঠে অনেকেরই পায়ের পাতা অবশ হয়ে যায়। কেন এমন হয়, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, সারা রাত উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে এমন হয়। তবে ঘুমের সময়ে এমনিই শরীরের কোষগুলি শিথিল হয়ে পড়ে। সজাগ হওয়ার পর তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় নেয়। চিকিৎসকদের মতে, ঘুম থেকেই উঠে প্রথমে ১০-১৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করে নিন। স্ট্রেচিং করুন। এতে পেশিগুলি ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy