রাগ বশে রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
মতের অমিল হোক বা বিরূপ পরিস্থিতি— পারদ একেবারে মাথায় চড়ে বসে। কোনও ভাবেই মেজাজ বশে রাখা যায় না। তার প্রভাব পড়ে সামনে থাকা মানুষগুলোর উপর। যাঁর সঙ্গে যা নিয়ে রাগারাগি, সেই ব্যক্তি সামনে থাকলে তো কাক-চিল বসার উপায় থাকে না। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নিজের। রাগের চোটে জিনিস ভেঙে ফেলেন, কোথায় কী রাখছেন তা ভুলেও যান অনেকে। এমন সমস্যা যদি আপনারও হয়, তা হলে সমাধান রইল এখানে। তবে তার আগে জেনে নিন রাগ কেন হয়?
রাগ হয় কেন?
১) রাগ জিনগত। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। পরিবারের কারও যদি কথায় কথায় রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তা হলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা সঞ্চারিত হতে পারে।
২) মস্তিষ্কের স্নায়ুর গঠনগত কোনও সমস্যা থাকলেও এই ধরনের আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) বড় হয়ে হওয়ার মুখে যদি কোনও রকম সামাজিক বা পারিবারিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়, সে ক্ষেত্রেও আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) হরমোনের ভারসাম্যের বিঘ্নিত হলেও মনমেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজ়অর্ডার’, অবসাদ, ‘সাইকসিস’, ‘বাইপোলার ডিজ়অর্ডার’-এর মতো রোগ থাকলেও রাগের উদ্রেক হয়।
৫) ‘হাইপোথাইরয়েড’, ‘হাইপারথাইরয়েড’, বা মস্তিষ্কের আঘাত লাগলেও কিন্তু আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন কী করে?
১) শরীরচর্চা করুন। মন বা শরীর সংক্রান্ত সমস্যাকে কব্জা করার প্রাথমিক উপায় হল শরীরচর্চা করা। ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক চাপ বশে রাখতে হরমোনেরও ভূমিকা রয়েছে। শরীরচর্চা করলে দেহে হরমোনের সমতাও বজায় থাকে।
২) একটানা কাজ করলে অনেক সময়ে মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ মনের উপরেও প্রভাব ফেলে। তার চেয়ে বরং কাজের মাঝে অল্প বিরতি নিয়ে খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসুন। মন তো ভাল হবেই। কাজের মানও উন্নত হবে।
৩) মনের মধ্যে রাগ পুষে রাখা যাবে না। কম্পিউটারের ‘ক্যাশে মেমরি’ পরিষ্কার করার মতো মাথা থেকে খারাপ স্মৃতিগুলো ধুয়েমুছে ফেলতে হবে। রাগ, জেদ বজায় রাখলে আদতে ক্ষতি মনেরই।
৪) মনকে অন্য কাজে নিযুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। সারা ক্ষণ মাথার মধ্যে ওই এক জিনিস ঘোরালে মানসিক ভাবে আরও বেশি ক্লান্তি বোধ করবেন। মেজাজও বিগড়ে যাবে।
৫) রাগ বশে রাখার আরও একটি কৌশল হল গান শোনা। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে সঙ্গীত। তা সে যন্ত্রসঙ্গীতও হতে পারে। আবার, অনেকে আঁকা বা ঘর পরিষ্কার করতে ভালবাসেন। ছোট ছোট কাজের মধ্যে থাকলেও কিন্তু ধীরে ধীরে রাগ ফিকে হতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy