বর্ষায় সুস্থ থাকতে কিছু শাকসব্জি এড়িয়ে চলতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত
বর্ষা মানে তীব্র গরম থেকে মুক্তি। গ্রীষ্মের অস্বস্তি অনেকটাই কমে এই ঋতুতে। রাস্তার জলকাদা ছাড়া বাদ দিয়ে অনেকেরই প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল। এই সময় তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী হলেও সুস্থ থাকাটা জরুরি। কারণ বর্ষায় বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা। সর্দি-কাশি ছাড়াও বদহজম, পেটের গন্ডগোল তো রয়েছেই। বর্ষায় আবহাওয়ার তারতম্য খুব বেশি হয়। পেটের অসুখের হাত থেকে বাঁচতে বর্ষাকালে খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি। শরীরের যত্ন নিতে শাকসব্জির বিকল্প নেই। তবে বর্ষায় সুস্থ থাকতে কিছু শাকসব্জি এড়িয়ে চলতেই হবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) বেগুন
পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ তাড়াতে বেগুন চাষের সময় অ্যালকালয়েড নামক কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বর্ষাকালে কীটপতঙ্গের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়। তাই এই সময় বেগুন কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্ষায় বেগুন খেলে ত্বকে ঘামাচি, বমি বমি ভাব এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।
২) মাংস ও সামুদ্রিক খাবার
বর্ষায় পেটের গোলমাল বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময় ভাজাভুজি বেশি না খাওয়াই ভাল। চিকিৎসকরা বলছেন, সামুদ্রিক কোনও খাবার বা মাছ বর্ষায় এড়িয়ে চলা জরুরি। এতে সুস্থ থাকবে শরীর। বর্ষায় রোজ মাংস খাওয়াও ঠিক নয়। তবে একেবারে বন্ধ না করে কয়েক দিন অন্তর খাওয়া যেতে পারে।
৩) প্রক্রিয়াজাত পানীয়
গরমে এই ধরনের পানীয়ের কদর বেশি থাকে। তবে বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াতেও গলা ভেজাতে অনেকেই চুমুক দেন এই ধরনের পানীয়তে। চিকিৎসকরা নরম পানীয়, রঙিন পানীয় এই সময় বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার পেটের গোলমাল হওয়ারও ঝুঁকি থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy