রাত জাগলে কি ওজন বাড়তে পারে? ছবি- সংগৃহীত
সারা রাত কাজ করার পর, ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে খাওয়াদাওয়া সেরে, মধ্যরাত থেকে আবার ঘাড় গুঁজে কাজ। দেশের যে কোনও রাজ্যেই কাজের ধরন বা সময়ের চিত্রটা অনেকটা একই রকম। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীদের ক্ষেত্রে কাজের সময়ের ধরনটা এ রকমই। ১০টা থেকে ৫টার স্থায়ী জীবন যে কেমন ছিল, তা বোধ হয় জানেই না তরুণ প্রজন্ম। প্রতি দিন রাতে জেগে থাকার এই অভ্যাসে নষ্ট হচ্ছে সারা দিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার দেহঘড়িটি। অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে গেলে ঘুম, খাওয়াদাওয়া সবই সঠিক সময়ে করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলে।
দিনের পর দিন এই নিয়ম চলতে থাকলে, দেহের প্রাকৃতিক ‘সার্কাডিয়ান’ ঘড়িটির ছন্দ নষ্ট হয়। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ঘুমের সময়ের এই গরমিলের প্রভাবে বাড়তে থাকে হার্টের সমস্যা, রক্তে শর্করার মাত্রা। বাড়ে ওজন এবং হজমের সমস্যাও।
পুষ্টিবিদদের মতে, রাত জেগে কাজ করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ শুধু রাত জাগা নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাত জেগে কাজ, কাজের চাপ, উদ্বেগ, মানসিক টানাপড়েন তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে শরীরের উপর।
রাত জেগে কাজ করলে খিদে পাবেই। মুখ চালাতে চালাতে অনেকেই নানা রকম মুখরোচক টুকটাক খাবার খেতে পছন্দ করেন। মধ্যরাতে যে সময়ে দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা, সেই সময়ে খাবার খেলে গ্লুকোজ বা শর্করা ভাঙার ক্ষমতা থাকে না। তখন রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হয়।
রাত জেগে কাজ করার পরও কয়েকটি ছোট ছোট কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে শরীরে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
১) রাত জাগতে হলে ভারী খাবার খাবেন না।
২) সকালে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে তবেই ঘুমোতে যান
৩) রাত জাগলেও প্রতি ৪ ঘণ্টা অন্তর খাবার খেতে হবে।
৪) মুখরোচক খাবার নয়, ফল, বাদাম, ছোলা, বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য— এই জাতীয় খাবার সঙ্গে রাখুন।
৫) রাত জাগলেও বেশি চা বা কফি খাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy