প্রতীকী ছবি
মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি কিংবা বদহজম— শীতকালজুড়ে কিছু না কিছু যেন লেগেই থাকে। এই সমস্যাগুলি অনেক কারণেই হতে পারে। চটজলদি উপকার পেতে অনেকেই ওষুধ খান। তবে বার বার ওষুধ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
তাই ওষুধ নয়, বরং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিলতে পারে আরাম।
কোন কোন সমস্যায় কী ব্যবস্থা নিতে পারেন?
মাইগ্রেন
আপনি কি প্রায়ই মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন? কিছু ক্ষেত্রে চিকিত্সকের সাহায্য নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খাদ্য এবং জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন এনেই এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। পালং শাক, শালগম, ব্রকোলির মতো কিছু সব্জিতে যথেষ্ট পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এমন সবুজ শাকসব্জি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। তা ছাড়া বাদাম, আখরোট, কাজু এবং কুমড়োর বীজ, চিয়া বীজ, সূর্যমুখীর বীজ মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সেই সঙ্গে আপনার শরীরে জলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা এ ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। তাই লেবু জল এবং নারকেলের জলের মতো পানীয়ও নিয়ম করে খান।
কোষ্ঠকাঠিন্য
খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সাধারণ সমস্যা। তবে যে সব খাদ্যে ফাইবার আছে, তা নিয়মিত খেলে অনেকটাই সমস্যা কমতে পারে। বেল, পাকা পেয়ারা, আপেল, পালং শাক, বাজরা, ওট্সের মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। পাকা পেঁপে ও দই খেলে হজমশক্তি বাড়ে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ উষ্ণ জল খান। উষ্ণ জল খেলে তা হজমে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
সর্দি-কাশি
শীতকালে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি লেগেই রয়েছে। টমেটো, দই এবং সবুজ শাকসব্জির মতো খাবার শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন থাকে। যা এ সময়ে খুব জরুরি। তাত্ক্ষণিক উপশমের জন্য, হলুদ দুধ এবং আদা চায়ের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু পানীয়ও খাওয়া যেতে পারে। গরম স্যুপ কাশি, সর্দি এবং ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাল হতে পারে। লেবুর মতো ভিটামিন সি যুক্ত ফল এ সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
বদহজম এবং আলসার
তেলমশলা ছাড়া খাবার বাড়িতে কেউই মুখে তুলতে চায় না। অগত্যা অরিরিক্ত মশলাদার খাবার বানানো ছাড়া উপায় নেই। ফলস্বরূপ বদহজম অবধারিত। আদা কিন্তু হজমের সমস্যা সমাধানে সত্যিই সহায়ক হতে পারে। ওট্স হল ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা আপনার আলসারের যত্ন নিতে সাহায্য করতে পারে। তা ছাড়াও সবুজ শাক সব্জি এবং ভিটামিন সি যুক্তফল খেতে পারেন। অম্বলের ক্ষেত্রে ফলের রস, ভাজাভুজি এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। পরিবর্তে ডিমের সাদা অংশ, আখরোট, বাদাম, রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রান্নার জন্য অলিভ অয়েল, তিলের তেল ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy