— প্রতীকী চিত্র।
যন্ত্রনির্ভর জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। যা থেকে শহরাঞ্চলে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। এ ছাড়াও বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং ধূলিকণার আক্রমণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে অশুদ্ধ যাবতীয় কিছু সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তার পর তা মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকে নানা রকম সমস্যার সূত্রপাত। সঙ্গে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো আছেই। যার প্রভাবে অ্যাজ়মা, সিওপিডি-র মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকেরা বলছেন, বায়ুদূষণ ছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে আরও তিনটি কারণ।
১) ধূমপান
ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দূষণ এবং ধূলিকণার যদি ৬০ শতাংশ দায় থাকে, তা হলে ৪০ শতাংশ দায় কিন্তু ধূমপানের। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী সেই ধূমপান।বহু দিন ধরে সিপিওডি-তে আক্রান্ত, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও চিকিৎসকেরা ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশের পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন।
২) জৈব, জীবাশ্ম জ্বালানি
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনও জ্বালানি হিসেবে কাঠকয়লার ব্যবহার রয়েছে। মহিলাদের শ্বাসনালি, ফুসফুসের সমস্যা বা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হল এই জ্বালানি থেকে নির্গত ধোঁয়া। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এলপিজি ব্যবহারের উপর জোর দেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়াও খোলামেলা জায়গায় রান্না না করতে বা খুব বেশি সময় আগুনের ধারে না থাকতে বলছেন তাঁরা।
৩) র্যাডন গ্যাস
প্রকৃতিই এই গ্যাসের উৎস। পাহাড়, মাটি এবং জলের মধ্যে বায়বীয় অবস্থায় থাকা এই র্যাডন গ্যাস বর্ণ, গন্ধহীন। সাধারণত বাড়ির দেওয়ালে থাকা ছিদ্র, ফাটল দিয়ে এই গ্যাস প্রবেশ করে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত সেখানে আটকে থাকতে পারে। বহু বছর ধরে এমন বাড়িতে বসবাস করার ফলে শরীরে র্যাডন গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই র্যাডন গ্যাসও কিন্তু ফুসফুসের জটিলতা বাড়িয়ে তোলার অন্যতম একটি কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy