রাত জেগে কাজ করেও কী ভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে? ছবি: শাটারস্টক।
অনেকেই নাইট শিফ্টে রাত জেগে কাজ করেন। কিন্তু এর প্রভাব পড়ে শরীরের অন্দরে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীর তো বটেই, দীর্ঘ দিন রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। মেদ জমতে শুরু করে শরীরের আনাচ-কানাচে। ওজন বেড়ে যায় অল্প দিনেই। শরীর চাঙ্গা রাখতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের ঘাটতি হওয়ার ফলে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে কাজ করার কারণে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের গোলমাল তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়াও হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। গ্যাস-অম্বল তো বটেই, রাতভর কাজ করার ফলে ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া একটা বড় সমস্যা। বহু ক্ষেত্রে অনেক কঠিন অসুখের শুরুও হয় এই রাত জেগে কাজ করার ফলে। কী ভাবে নিয়ম মেনে চললে রাত জেগে কাজ করেও সুস্থ থাকবেন?
১) অনেকেই রাত জেগে থাকার জন্য কাপের পর কাপ চা, কফি খান। এতে কিন্তু শরীর আরও খারাপ হয়। রাত জাগলে এমনিতেই শরীর আর্দ্রতা হারাতে থাকে। ফলে আর্দ্র থাকা জরুরি। তার জন্য ৪৫ মিনিট অন্তর জল খেতে থাকুন। এ ছাড়া গ্রিন টি, হার্বাল টি খেলেও ঘুম পাবে না। চা বা কফি এক-আধ বার চলতে পারে। নরম পানীয় একেবারেই খাবেন না। চা-কফি অনিদ্রার সমস্যা ডেকে আনে আর নরম পানীয় খেলে ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে।
২) রাত জেগে কাজ করলে খিদে পেয়ে যায়। আর খিদে পেলে পিৎজ়া, বার্গার, বিরিয়ানির মতো খাবার এড়িয়ে চলুন। বদলে হাতের কাছে কাঠবাদাম, সয়াবিন, চিয়া বীজ, চিনে বাদাম, জাতীয় খাবার মজুত রাখুন। শুকনো মুড়িও ভাল। বেশি খিদে পেলে পোহা বা উপমা জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩) রাত জাগতে হলে দুপুরে রঙিন সব্জি খান বেশি করে। সবুজ শাকসব্জি হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদান শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে। টম্যাটো, গাজর, স্ট্রবেরি, সবুজ শাকসব্জি, লেবু, বেরি জাতীয় ফল এবং সব্জি বেশি করে খান।
৪) নাইট শিফ্ট থাকলে বেশির ভাগ সময়েই বাড়ি থেকে রাতের খাবার সঙ্গে নিয়ে অফিস যান অনেকেই। কিন্তু কাজ সামলে খেতে খেতে রাত হয়। তার চেয়ে যে দিন নাইট শিফ্ট থাকবে, সে দিন বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বেরোন। যদি আপনার শিফ্ট রাত ৯ টায় থাকে, তা হলে সাড়ে ৭টা-৮টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিন। মাঝরাতে খিদে পেলে রাতে হালকা কিছু খান। ভারী খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল।
৫) রাত জেগে কাজ করলে অনেকের বদহজমের সমস্যা হয়। তাই রাতে খুব বেশি ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। হালকা খাবার খেলে শরীরও চাঙ্গা থাকবে আর হজমের সমস্যাও দূর হবে। প্রথম প্রথম এই নিয়ম মানতে কষ্ট হতে পারে, তবে একবার অভ্যাস হয়ে গেলে শরীর হালকা মনে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy