পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২-৩টি রসুনের কোয়া খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। ছবি: সংগৃহীত
আমিষ রান্নার অন্যতম উপকরণ রসুন। রান্নার স্বাদ বাড়াতে রসুনের জু়ড়ি মেলা ভার। তবে রান্না স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলাই রসুনের একমাত্র গুণ নয়। শরীরের দেখাশোনা করতেও কিন্তু রসুনের ভূমিকা অনবদ্য। ‘ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাটের স্কুল অফ মেডিসিন’-এর গবেষকদের দাবি, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। রক্তচাপ বশে রাখতেও এর ভূমিকা কম নয়। নিয়মিত রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল-এর পরিমাণ প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কমে যায়।
রসুনের মধ্যে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শরীর ভাল রাখা ছাড়াও বিশেষ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে রসুন প্রায় বিকল্পহীন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এর অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত উপকার পেতে রসুন ব্যবহারেও ক্ষেত্রেও কিন্তু কিছু টোটকা মাথায় রাখতে হবে। নয়তো নিয়মিত রসুন খেয়েও অধরা থেকে যাবে সুফল।
পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২-৩টি রসুনের কোয়া খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। রোজ সকালে এক কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে তা সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে। রান্না করার সময় রসুন কুচি কুচি কেটে বা থেঁতো করে দিলে তা সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে সে ক্ষেত্রে রসুন ধুয়ে কেটে মিনিট দশেক রেখে তবেই রান্নায় ব্যবহার করতে পারলে ভাল। যদিও বেশি রান্না করলে রসুনে থাকা অ্যালিসিন নষ্ট হয়ে যায়। বেটে দেওয়া রসুনে খাবারের স্বাদ বাড়লেও কাঁচা রসুন খাওয়াই বেশি উপকারী বলে জানান পুষ্টিবিদ।
রসুনের মধ্যে নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায়, রোজ অল্প রসুন খাওয়াই যায়। কোলেস্টেরল ছাড়াও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে সুগারের মাত্রা। খালি পেটে, অর্থাৎ অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর খেলে রসুনের রস সহজে শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy