এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকাটা ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
জুনের মাঝামাঝি বর্ষা ঢুকেছে বঙ্গে। বর্ষাকাল হলেও গরম কিন্তু বিদায় নেয়নি এখনও। বাইরে বেরোলে এখনও দরদর করে ঘামছেন প্রায় সকলেই। এর মাঝেই হয়তো দু-এক পশলা বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেল। এই রোদ আর মেঘের লুকোচুরিতে প্রভাব পড়ছে শরীরের উপর। ক্ষণে ক্ষণে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই আছে। তার উপর ফের দাপট বাড়ছে করোনার। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটাও ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকাটা ভীষণ জরুরি। তার জন্য কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
নিজেকে সুস্থ রাখতে কী কী সুরক্ষা মেনে চলবেন?
১) করোনা চোখরাঙানি বাড়লেও জ্বর-সর্দি কাশি মানেই কোভিড নয়। আবহাওয়ার কারণেও হতে পারে। তবে জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা যদি দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয় এবং সঙ্গে পেটের গোলমাল বা অন্যান্য কোনও উপসর্গ থাকে, সে ক্ষেত্রে অতি অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২) সর্দি-কাশি হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং ফল বেশি করে খান। কোভিডকালে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভিটামিন সি প্রতি দিনের পাতে রাখা জরুরি।
৩) এই মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। ফলে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর ফলে সর্দি-কাশি ছাড়াও বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বাড়ে। সুস্থ থাকতে পরিমাণ মতো জল খাওয়াটা প্রয়োজন। এতে পেটের গোলমালেরও ঝুঁকি কমে।
৪) ঠান্ডা লাগলে টক জাতীয় এবং ঠান্ডা কোনও খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলুন। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতে বরং সুস্থ অবস্থায় টক জাতীয় ফল বেশি করে খান।
৫) ঠান্ডা লাগা কমাতে গরম জলে ভাপ নিতে পারেন। বিশেষ করে ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা শ্বাসের কোনও সমস্যা হলে ভাপ নেওয়াটা জরুরি। তবে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোভিডের সময় বেশি ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy