কোন উপসর্গগুলি অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার বাসা বাঁধার ইঙ্গিত দেয়? ছবি: শাটারস্টক।
সব ধরনের ক্যানসারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। চিকিৎসকদের মতে, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। জন্ডিস এই ক্যানসারের প্রধান উপসর্গ। কিন্তু হালকা জন্ডিস হলে কেউই ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে ক্যানসার যখন ধরা পড়ে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। এই ক্যানসার মূলত ফুসফুস আর যকৃতে ছড়িয়ে পরে। কর্কট রোগ কার শরীরে বাসা বাঁধবে, তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না। তবে রোজের কিছু অভ্যাস অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান করলে এই রোগের ঝুকি বাড়ে। যাঁরা ওবেসিটিতে ভুগছেন কিংবা যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই রোগের ঝুঁকি বেশি। অগ্ন্যাশয়ে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা প্রদাহ হলেও এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধার ঝুঁকি থেকে যায়।
কোন কোন উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন?
১) খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলে কমবেশি সকলেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। তবে এই সমস্যা সাময়িক। যদি দেখেন ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝেই এই সমস্যা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে, তা হলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। বদহজম কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এর পাশাপাশি খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়া, সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব— এই লক্ষণগুলি দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
২) অসহ্য পেটে যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। কিছু খেলে কিংবা শুয়ে থাকলে এই যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। এই ক্যানসারের ক্ষেত্রে মূলত পেটের উপরিভাগে যন্ত্রণা হয়। ধীরে ধীরে ব্যথা পেট থেকে পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
৩) বার বার জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিন্তু সেটি মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হোন। ঘন ঘন ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘ দিন জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy