ভাজাভুজি খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়ায় গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে ভাজাভুজি খেতে মন চায়। একটা খাবেন ভেবেও, পর পর দু-তিনটে খাওয়া হয়ে যায়। পেট ভরে গেলেও অনেক সময় মন ভরে না। ফলে খাওয়াও থামে না। খাওয়ার পরে শারীরিক অস্বস্তি হয় ঠিকই, কিন্তু তাই বলে ভাজাভুজি খাওয়া তো ছাড়া যায় না। তেলেভাজা খাওয়ার পরেও সুস্থ থাকতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কী সেই নিয়ম?
১) সন্ধেবেলায় মোগলাই খেয়েছেন বেশ কয়েক টুকরো। তার পর থেকেই পেট কেমন ফুলে রয়েছে। শরীরে অস্বস্তিও হচ্ছে। যে কোনও ভারী খাবার খেয়ে তার ১৫-২০ মিনিট পর প্রোবায়োটিক খাবার খান। দেখবেন পেট ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। শরীরের অস্বস্তিও একেবারে দূর হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভাল উপকার পাবেন দই খেলে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। খাবারও চটজলদি হজম হয়ে যাবে।
২) ভাজাভুজি খাওয়ার পর শরীর চাঙ্গা রাখতে গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হজমে সাহায্য করে। তা ছাড়া গ্রিন টি হল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হজম প্রক্রিয়া দ্রুত করে। তাই ভাজাভুজি খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে গ্রিন টি খেলে শরীরের অস্বস্তি ভাব দূর হবে।
৩) ভাজাভুজি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাবেন না, এতে অস্বস্তি আরও বাড়ে। হজমেও গোলমাল শুরু হয়। ভাজাভুজি খাবার খাওয়ার পরে মিনিট কুড়ি হাঁটুন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে।
৪) ভাজাভুজি খাওয়ার পরেই জল খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এই অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরের জন্য এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভাজাভুজি খেয়ে জল খেলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy