Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Milk With Extra Nutrition

সুষম খাবার দুধের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন সামান্য কয়েকটি উপকরণ যোগেই

ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ভিটামিনে পূর্ণ দুধ সুষম খাবার হিসাবেই গণ্য হয়। তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপকরণ যোগে বাড়িয়ে নিতে পারেন দুধের পুষ্টিগুণ।

দুধের সঙ্গে আর কী মেশালে স্বাদ বড়বে, বৃদ্ধি পাবে পুষ্টিগুণও?

দুধের সঙ্গে আর কী মেশালে স্বাদ বড়বে, বৃদ্ধি পাবে পুষ্টিগুণও? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১২:০৩
Share: Save:

জন্মেই শিশু মাতৃস্তন্য পান করে। ছ’মাস বয়সের পর থেকে ধীরে ধীরে বাইরের দুধ ও খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয় সে। ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ভিটামিন ও রকমারি খনিজে ভরপুর দুধকে সুষম খাবারের তালিকাতেই রাখা হয়। শরীরে ভিটামিন-ডির ঘাটতি পূরণ হয় এই পানীয়ে। তবে, এই দুধের পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাও রান্নাঘরের কয়েকটি উপকরণ দিয়েই।

হলুদ

দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবার চল আজকের নয়। জ্বর হোক বা ঠান্ডা লাগা, মচকে গিয়ে পায়ে ব্যথা, মা-ঠাকুমারা বলেই থাকেন, হলুদ দুধ খেলেই ম্যাজিকের মতো কাজ হবে। তাঁরা বলতেন অভিজ্ঞতা থেকেই। হলুদে থাকে কারকিউমিন নামে একটি উপাদান। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও। বলা হয়, এই দুধ খেলে বাতের ব্যথার রোগীরাও আরাম পেতে পারেন। এক কাপ ঈষদুষ্ণ দুধে অর্ধেক চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিলেও দুধের পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে।

মধু

চিনির বদলে মধু খাওয়া ভাল। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব। মধু অ্যান্টি ব্যক্টিরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ‘এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল’-এর একটি গবেষণা বলছে গলা ব্যথা, গলা খুসখুস ও সর্দিতে কাজ করে মধু। এক কাপ গরম দুধে ১ থেকে ২ চামচ মধু মিশিয়ে শিশুদের খাওয়াতে পারেন। ডায়াবিটিসের সমস্যা না থাকলে, বড়রাও খেতে পারেন।

জাফরান

জাফরান ব্যবহার ভারতে বহু পুরনো। রূপচর্চা থেকে রান্নায় গন্ধ ও স্বাদ বৃদ্ধির জন্য জাফরানের ব্যবহার হয়। এ নিয়ে একটি গবেষণা বলছে, জাফরান মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে জাফরানের অসাধারণ মেলবন্ধন হয়। জাফরান মেশালেই দুধে হালকা হলুদ রং ধরে যায়; সঙ্গে মিষ্টি গন্ধ। অনেকেই দুধের নিজস্ব গন্ধ পছন্দ করেন না। এক কাপ হালকা গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে খেলে শরীরও ভাল থাকবে, দুধের গন্ধও নাকে লাগবে না।

আমন্ড

ভাল ফ্যাট, ফাইবার ও রকমারি খনিজে ভরপুর আমন্ড খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। এই বাদাম দুধে মেশালে শুধু দুধের স্বাদ বৃদ্ধি হয় না, গুণও বেড়ে যায়। ভিটামিন ই তে ভরপুর আমন্ড ত্বকের জন্যও ভাল। তিন থেকে চারটি ভেজানো আমন্ড খোসা ছাড়িয়ে বেটে দুধের সঙ্গ মিশিয়ে দিলেই বেড়ে যাবে দুধের পুষ্টিগুণ।

দারচিনি

ভারতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলার মধ্যে দারচিনি একটি। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই মশলাটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। শরীর ভাল রাখে। গরম দুধে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিলেই দুধ হয়ে যাবে সুগদ্ধযুক্ত ও আরও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE