রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন খেজুর। ছবি সংগৃহীত
ঋতুস্রাবের সময়ে বা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অনেকেই রক্তাল্পতায় ভোগেন। যার ফলে দেখা যায় নানা শারীরিক সমস্যা। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকলেই দূর হতে পারে এই সমস্যা। রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন খেজুর। এই ফলটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, আবার এতে রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত শীতকালে খেজুরের উপকারীতার শেষ নেই।
এ বার খেজুরের যাবতীয় পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক—
১) খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখলে সারাদিন বেশ প্রাণবন্ত থাকা যায়।
২) খেজুরে কোনও ফ্যাট নেই। নেই কোনও কোলেস্টেরলও। খেজুরে থাকা ‘ক্যাটাচিনস’ নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তা ছাড়া, খেজুর ধমনীতে চর্বির স্তর জমতে দেয় না।
৩) রক্তাল্পতায় ভুগলে অবসাদ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রেও খেজুর ভীষণ উপকারী। খেজুর আয়রনের ভাল উত্স।
৪) হৃদ্রোগ, ক্যানসার কিংবা ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও খেজুর খুব উপরারী। খেজুরে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস যা ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ভাষণ উপকারী। এ ছাড়াও খেজুরে আছে আইসোফ্ল্যাভন ও ক্যারোটেনয়েডস নামক দু’টি উপাদান, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী। খেজুরে থাকে ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫) খেজুরে বেশ ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা য়ায়, খেজুর হল এমন এক প্রাকৃতিক প্রতিষেধক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬) খেজুরে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এ সব হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশ উপকারী।
৭) খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ‘ক্যারোটানয়েডস’, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এমনকি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পেশীর সঙ্কোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাও খেজুর প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৮) সাধারণত খাদ্যে ফাইবার অভাবে পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ হয়। খেজুরে যেহেতু প্রচুর ফাইবার থাকে, তাই নিয়মিত খেজুর খেলে এ রোগগুলি থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
৯) খেজুরে আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, রিবোফ্লোভিন, নিয়াসিন এবং আরও অনেক ধরনের পুষ্টির উপকরণ, যা বিপাকক্রিয়া বাড়ায়।
১০) খাদ্যতালিকায় খেজুর থাকলে ত্বক হবে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায়। তা ছাড়াও খেজুর শরীরে মেলানিনের মাত্রা কমিয়ে বয়সের চিহ্নকে দূরীভূত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy