হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর হানাতে এই মারণরোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
সারা পৃথিবী জুড়ে মহিলাদের মধ্যে যত ধরনের ক্যানসার দেখা যায়, তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সারভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখের ক্যানসার রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর এই ক্যানসার রোগীর এক চতুর্থাংশই হলেন ভারতীয় নারীরা। প্রতি বছর ভারতে গড়ে এক লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর হানাতে এই মারণরোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করা ছাড়াও সারভিক্যাল ক্যানসারের আর একটি প্রধান কারণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক। ২০ বছরের কম বয়সিদের এই রোগ সাধারণত হয় না। সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সিরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স ৬০ পেরলেও এটি হতে পারে, তবে সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ১০ পেরলেই এই রোগ প্রতিহত করার টিকা নেওয়া যায়। এই অসুখ গোপন না করে বরং ধরা পড়ার পরই উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। নিয়ম মেনে চিকিৎসা করালে যেমন জরায়ুমুখের ক্যানসার সেরেও যায়, তেমনই দেরি করলে বা রোগ চেপে রাখলে তা প্রাণও কাড়ে। এই ধরনের ক্যানসারের বেশ কিছু লক্ষণ দেখেও এ নিয়ে সচেতন হওয়া যায়।
কোন কোন লক্ষ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরে গেলে ঋতুচক্রের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়। অন্য সময় সাদা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাবের ক্ষরণ হতে পারে।
২) যৌনমিলনের মুহূর্তের পর রক্তপাত হতে পারে।
৩) ঋতুবন্ধের পর রক্তপাত হয়।
৪) তলপেটে, কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।
৫) হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব কিংবা ব্যথা অনুভব হওয়াও এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কী ভাবে এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়?
এ সব লক্ষণ দেখা দিলেই কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। বছরে দু’বার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করাতে হবে। পলিসিস্টিক ওভারি, বন্ধ্যাত্ব এ সব থাকলে সচেতন হোন। গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইচ্ছা মতো ওষুধ নেবেন না। পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে তেল-মশলা এড়িয়ে খাওয়াদাওয়া করুন, সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। সঙ্গীর একাধিক যৌনসঙ্গী আছে কি না বা সঙ্গী কোনও প্রকার যৌনরোগে আক্রান্ত কি না, জানতে হবে তা-ও। ঘন ঘন যৌন সঙ্গী বদলাবেন না, সুরক্ষিত যৌনজীবনে অভ্যস্ত হোন, মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহার করুন। ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে একেবারেই। সুষম আহার, ভিটামিন এ, সি সমৃদ্ধ ফল, শাকসব্জি, খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে জোর দিতে হবে।
এ ছাড়া গার্ডাসিল নামক টিকার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তবে যৌন সংসর্গ শুরুর আগেই নারীদের এই টিকা নিয়ে নেওয়া বাঞ্চনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy