সুস্থ ভাবে চলাফেরা করতে খাবারদাবারে আনতে হবে বদল। ছবি: সংগৃহীত
হাঁটুর ব্যথা নিয়ে ভুগছেন বহু মানুষ। বয়স বাড়লে ব্যথা বাড়ে। তবে এখন কম বয়সেও হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন বহু মানুষ। মূলত শরীরচর্চার অভাবেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। তা ছাড়া, সারা দিন ধরে অফিসে বসে কাজ করার ফলে চাপ পড়ে হাঁটুর পেশিতে। ৩০ পেরোতে না পেরোতেই হাঁটুর ব্যথায় কাতর অনেকেই। রোজের জীবনযাপনে কিছু অনিয়মের কারণেই মূলত কাহিল হয়ে পড়ে হাঁটু। তার মধ্যে অন্যতম খাওয়াদাওয়ায় কোনও নিয়ম না মানা। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক অনেকটাই দায়ী এর জন্য। শীতকাল এলেই যেন ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই সুস্থ ভাবে চলাফেরা করতে খাবারদাবারে আনতে হবে বদল। কোন খাবারগুলি বেশি করে খেলে সুস্থ থাকবে হাঁটু?
রসুন
রান্নার স্বাদে পরিবর্তন আনা ছাড়াও, রসুন শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণাও দূরে রাখে। কারণ রসুনে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরের পেশি সবল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গরম ভাতে এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়াও কাঁচা রসুনও খেতে পারেন।
আদা
হাঁটুর ব্যথা কমাতে আদা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে। আদা বহু স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ। সর্দি-কাশি কমানো থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা— সবেতেই আদা খুব উপকারী। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও, চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। আদা হাঁটুর ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী।
বাদাম
কাঠবাদাম, কাজুর মতো এমন বিভিন্ন ধরনের বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর ওমেগা ৩ রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। রোজ সকালে ভেজানো বাদাম খান অনেকেই। এই অভ্যাস ভাল। তবে শুধু কাঠবাদাম খেলে হবে না, সঙ্গে খেতে হবে আখরোট আর কাঠবাদামও। এ ছাড়াও ডায়েটে রাখুন চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সিডসের মতো উপকারী কিছু বাদাম এবং বীজ। হাঁটুর ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
বেরিজাতীয় ফল
মরসুমি ফলের স্বাস্থ্যগুণ অনেক। ঠান্ডা লাগা কমানো থেকে শরীরের আরও অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ফল। শীত পড়তেই বাজার ছেঁয়েছে নানা ধরনের বাহারি ফলে। হাঁটুর ব্যথা সারাতে সেখান থেকেই বেছে নিতে পারেন বেরিজাতীয় কিছু ফল। ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। রোজের ডায়েটে এই ফলগুলি রাখলে হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অলিভ অয়েল
শরীরের দেখাশোনায় অলিভ অয়েলের ভূমিকা বলা বাহুল্য। এই তেল ওমেগা ৩-র উৎস। এই তেলে রয়েছে ‘ওলিয়োক্যানথাল’ নামক উপাদান, যা হাঁটুর পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে কয়েক দিন অলিভ অয়েলে খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়া, স্যালাডেও এই তেল ছড়িয়ে নিতে পারেন।
মাছ
হাঁটুর ব্যথা কমাতে পাতে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মাছ। তবে খুব ভাল হয় যদি সামুদ্রিক কোনও মাছ খেতে পারেন। কারণ সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ডি-র মতো উপকারী কিছু উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফ্যাটি অ্যাসিড হাঁটুর ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy