সকালে শুধু হাঁটতে গেলেই হবে না, বাড়ি ফিরে সঠিক খাবারও খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে হাঁটাচলার কোনও বিকল্প নেই। হাঁটার সময়টা যদি হয় সকাল, তা হলে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ‘মর্নিং ওয়াক’ হল সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। তেমনটাই বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক কোনও সমস্যা থাক কিংবা না থাক, সকালে হাঁটলে অনেক রোগবালাই থেকেই দূরে থাকা যায়। ওজন কমানো, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হৃদ্রোগের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও সকালে হাঁটার অভ্যাস থাকলে অনেকটাই সুস্থ থাকা যায়। তবে প্রাতর্ভ্রমণের উপকারিতা পেতে হলে হাঁটার পর সঠিক খাবারও খেতে হবে। সকালে হেঁটে আসার পর বাড়ি ফিরে কোন খাবারগুলি খেলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকবে?
টম্যাটো
শরীরের যত্নে টম্যাটো দারুণ উপকারী। এতে থাকা লাইকোপিন হার্ট অ্যাটাক ঠেকিয়ে রাখতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা না থাকলে সকালের কোনও খাবারে রাখুন টম্যোটা। হেঁটে আসার পর সেই খাবার খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
শাকসব্জি
পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ উৎস হল সবুজ শাকসব্জি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে ধমনীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে নাইট্রেট সমৃদ্ধ শাক। তবে, রাতে বিপাকহার কম থাকে। তাই রাতে শাক খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। বরং বাড়তি উপকারিতা পেতে সকালের হেঁটে আসার পর সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খান।
বাদাম
বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখতে এই যৌগটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ‘হার্ট ইউকে’ সংস্থা জানাচ্ছে, বাদামে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা ধমনীতে ক্ষতিকর মেদ জমতে বাধা দেয়। তাই সকালে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
সয়াজাত খাবার
টোফু, সয়া দুধের মতো সয়াজাত খাবার খেলেও কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, এই সব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। মাংস বা ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প হিসাবে সয়াজাত খাবার বেছে নেওয়াই ভাল। সকালের দিকে এ ধরনের খাবার খেলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy