কথায় কথায় ‘পেন কিলার’ খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্রবণশক্তিও কেড়ে নিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
সামান্য ব্যথা-বেদনা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো ‘পেন কিলার’ কিনে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু এ ভাবে মর্জি মতো ওষুধ ক্রমাগত খেতে থাকলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই অভ্যাসের কারণে মানসিক অবসাদ, হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, কথায় কথায় ‘পেন কিলার’ খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্রবণশক্তিও কেড়ে নিতে পারে।
বয়স হলে অনেকেই কানে কম শোনেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার কারণে বয়সের আগেই কানে দেখা দিচ্ছে সমস্যা! তাই এই প্রকার ওযুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। ব্যথানাশক ওষুধের মধ্যে এমন কিছু টক্সিন থাকে, যা কানের ভিতরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শ্রবণক্ষমতায় সাহায্যকারী স্নায়ুগুলির কর্মক্ষমতা কমে যায়, তারা মস্তিষ্কে সঠিক নির্দেশ পাঠাতে পারে না। অল্প ব্যবহারে কোনও সমস্যা দেখা না দিলেও দীর্ঘকালীন ব্যবহারে তৈরি হতে পারে জটিলতা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজি’-তে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যথা কমানোর ওষুধ কানের ককলিয়ার ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ ককলিয়ায় রক্ত চলাচলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে। এই কারণে শ্রবণক্ষমতায় সাহায্যকারী স্নায়ুকোষগুলি শুকিয়ে যেতে পারে।
এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে সব মহিলা সপ্তাহে দু’বার ব্যথার ওষুধ খান তাঁদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। আরও বেশি ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত অ্যাসপিরিনের ব্যবহার শ্রবণশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ব্যথা দূর করতে কী করতে পারেন?
পেনকিলার ব্যবহারে ব্যথা সাময়িক কমতে পারে। তার বদলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। বহু দিন ধরেই মানুষ ব্যথা-বেদনা উপশমে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক তেল, নানা ভেষজ উপাদান এবং বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy