প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে আমাদের কী কী ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়ে নানা গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। সম্প্রতি ইঁদুরদের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্লাস্টিকে এক রকম প্রক্রিয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদ্রোগের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। মানবশরীরেও একই প্রক্রিয়া হলে, তার সাম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে এই গবেষণার ফলাফল।
প্লাস্টিক সমুদ্রে মিশলে ছোট ছোট পদার্থে ভেঙে যায়। একে বলে মাইক্রোপ্লাস্টিক। কাঁকড়া, মাছ, শিলমাছ— সামুদ্রিক দুনিয়ার বিভিন্ন জীবে দেখা গিয়েছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক নানা রকম বদল আনছে। মানবশরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিক ফুসফুসের কোষের আকার বদল করতে সক্ষম। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে মস্তিষ্ক এবং রক্তের মধ্যে যে বাঁধ, তা পেরিয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করতে পারে। প্লাস্টিক টেকসই বানানোর জন্য তাতে মেলানো হয় প্লাস্টিসাইজার। তাও মস্তিষ্কের কোষে নানা রকম ক্ষতি করে।
খাবারের প্যাকেট, ভিনাইল ফ্লোরিং, স্নানঘরের পর্দার মতো রোজকার জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকে যে প্লাস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়, তা কী ধরনের ক্ষতি করছে আমাদের শরীরে, তা নিয়ে চলছে সাম্প্রতিকতম গবেষণা। অক্টোবরে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী আমেরিকায় অন্তত এক লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হৃদ্রোগ। তাঁরা প্রত্যেকেই এই প্লাস্টিসাইডের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় ইঁদুরদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। দেখা গিয়েছে এই প্লাস্টিসাইড হজমব্যবস্থায় ‘পিএক্সআর’এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পিএকআর এমন এক প্রোটিন যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণা বলছে প্লাস্টিসাইড সেই মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
আরও জানা গিয়েছে, এই প্লাস্টিসাইডের কারণে এক ধরনের লিপিড অণু যাকে সেরামাইড বলে, রক্তে তার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই সেরামাইডের জন্যেই মানবশরীরে হৃদ্রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘এনভায়রমেন্টাল হেল্থ পার্সপেক্টিভস’ পত্রিকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy