ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও বেশ উপকারী এই ধরনের ভাত। ছবি: সংগৃহীত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ভাত খাওয়া এ়ড়িয়ে যান। রোজের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, শাকসব্জি থাকলেও সাদা ভাত প্রায় খান না বললেই চলে। কিংবা ভাত খেলেও ভরসা রাখেন ব্রাউন রাইসে। কারণ ব্রাউন রাইসে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। ভাতও খাওয়া হয়, আবার মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কম থাকে। কিন্তু ভাত খেতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের রোগা থাকার একমাত্র উপায় কি ব্রাউন রাইস? অনেকেই হয়তো জানেন না, ব্রাউন রাইস ছাড়াও রোগা থাকার অন্য আরও একটি রাস্তা হল বাঁশের চাল। বাঁশ দিয়ে তৈরি আসবাব, গয়নার কথা অনেকেই জানেন। ব্যবহারও করে থাকেন কেউ কেউ। তাই বলে বাঁশের চাল? স্থানীয় ভাষায় এই চালের নাম মুলায়ারি। খুবই উপকারী একটি খাদ্য এই চাল। তবে চাল না বলে বাঁশের বীজ বললেই ভাল। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই চাল শুধু রান্না করার পাশাপাশি বিরিয়ানি, পোলাওয়ের মতো খাবারেও ব্যবহার করা যায়।
ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। সারা ভারতে প্রায় ৬০০-রও বেশি ধান চাষ হয়। সেগুলির মধ্যে পুষ্টিগত দিক থেকে অন্যতম এই চাল। কাঁচা বাঁশ থেকে তৈরি হওয়ায় এর রংও সবুজ হয়। রোগা হতে চাইলে ব্রাউন রাইস ছাড়াও খেতে পারেন এই ‘ব্যাম্বু রাইস’। চাল হলেও খেতে এর স্বাদ অনেকটা গমের মতো।
ডায়াবিটিস থাকলেও একেবারে কম ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও বেশ উপকারী এই ধরনের ভাত। এতে ফ্যাট একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে রোজকার ডায়েটে অনায়াসে রাখতে পারেন ‘ব্যাম্বু রাইস’। পেশিতে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথার মতো ব্যথা-বেদনাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই চাল। পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতেও দারুণ উপকারী এই চাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy