প্রতীকী ছবি।
রাতের খাবার খাওয়া শেষ করতেই ১১টা বেজে যায়। তার পর চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে সিনেমা দেখা। সেটা শেষ হলে আবার বিছানায় শুয়ে ইন্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুক। ঘড়ির কাটা ২টো পেরিয়ে ৩টে, কখনও কখনও আবার ৪টে। এ ভাবেই রাতের পর রাত কেটে যায়। রাত জাগার অভ্যাস প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। এ দিকে শরীরের ক্ষতিও কম হচ্ছে না। হঠাৎই নানা রকম গোলমাল এবং রক্তপরীক্ষার পর দেখা গেল নানা রকম রোগ বাসা বাঁধা শুরু করে দিয়েছে। ব্যস! চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ এ বার থেকে তাড়াতাড়ি ঘুম এবং সকালে ঠিক সময় ওঠা আবশ্যিক।
কিন্তু বললেই তো আর হল না। ঘুমের অভ্যাস বদলানো মুখের কথা নয়। দীর্ঘ দিন ধরে যদি কারও রাত জাগার অভ্যাস হয়ে যায়, তা হলে হঠাৎ করে তা বদলে ফেলে সাত সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করা মোটেই সহজ নয়। অন্তত তিন সপ্তাহ টানা যদি সকাল সকাল উঠতে পারেন, তবেই অভ্যাস একটু একটু করে বদলানো শুরু করবে। কিন্তু শুরুটা কী করে করা যায়? রইল কিছু সহজ নিয়ম যা মানতে পারলে একটু হলেও নতুন অভ্যাস তৈরি হতে পারে।
১। রোজ সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠা এবং ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়াই শরীরের পক্ষে শ্রেয়। কিন্তু এক দিনে এত বড় বদল করতে যাবেন না। তা হলে মুশকিল হয়ে যাবে। তার চেয়ে একটু একটু করে নিজের ঘুমের সময়টা মানিয়ে নিন।
২। কোন সময়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কোন সময়ে উঠবেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোজ একই সময়ে ঘুমোনো এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। না হলে শরীরের সমস্যা হবেই।
৩। ঘুমোনোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন। রাতের খাবারে যত কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেতে পারবেন, তত ভাল। ঘুমের আগে গ্রিন টি বা ক্যামোমিল টি খেলে ঘুম আসতে সুবিধা হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে, সকালে উঠতেও সমস্যা হবে না।
৪। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার করবেন না। তাতে ঘুম আসতে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। বরং ফোনে পর দিনের অ্যালার্ম সেট করে বিছানা থেকে বেশি খানিকটা দূরে রেখে দিন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে পর দিন উঠে অনেকটা যেতে হয়। এতে ঘুমও ভেঙে যাবে সহজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy