অচেনা পরিবেশে ঘুম আসে না কেন? ছবি: সংগৃহীত।
নিজের চেনা ঘর, বিছানা ছেড়ে অন্য কোথাও ঘুম আসতে চায় না অনেকেরই। নতুন পরিবেশে গেলে সারা রাত এ পাশ-ও পাশ করে কাটিয়ে দিতে হয়। এ সমস্যা সব চেয়ে বেশি হয় কোথাও বেড়াতে গেলে।
সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত শরীরটা হোটেলের বিছানায় এলিয়ে দিলেও ঘুমের দেখা পাওয়া যায় না। বেড়াতে গেলে উত্তেজনা আর আনন্দে এমনিতেই ঘুম কম হয়। তবে যদি ঘুম একেবারেই না আসে, তা হলে তো মহা মুশকিল! শরীর খারাপ হয়ে গেলে আবার অচেনা-অজানা জায়গায় ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। নতুন পরিবেশে গিয়েও কী ভাবে ঘুমের দেশে পৌঁছনো যায়, সেই কৌশলগুলি জেনে রাখুন।
১. নতুন পরিবেশে ঘুম না আসার সমস্যা থেকে থাকলে হোটেল বুক করার সময় উপর তলার ঘর নিন। দামি হোটেল হলেও, এক তলার ঘরে থাকার বেশ কিছু সমস্যা আছে। ঘরের কয়েক মিটারের মধ্যে রিসেপশন থাকলে আরও বেশি মুশকিল। লোকজনের কোলাহল, চিৎকার, নানা রকম আওয়াজ সারা রাত ধরেই হতে থাকে। ঘুমের বারোটা বাজে এর ফলে। ৩-৪ তলার ঘরে থাকলে এই সমস্যাগুলি সহ্য করতে হবে না।
২. আলো জ্বেলে ঘুমোতে পারেন না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভাল উপায় হল, ঘর অন্ধকার করে দেওয়া। জানলার পর্দা ভাল করে টেনে দেওয়া। যাতে বাইরের আলো না আসে। তবে এতে অন্য বিপত্তি আছে। একে অচেনা জায়গা, তার উপর অন্ধকার, ভয়-ভয় করতে পারে। সে ক্ষেত্রে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে, চোখে একটা মাস্ক পরে নিতে পারেন। তা হলে চোখে আর আলো লাগবে না।
৩. রাত হয়ে গেলেই বাড়ির মতো হোটেলের চার পাশ নিস্তব্ধ হয়ে যাবে, এমন আশা না করাই ভাল। অতিথি, কর্মীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তাই দিনের বেলা তো বটেই, রাতভর কথার আওয়াজ কানে আসতেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে কানে ব্লুটুথ গুঁজে রাখতে পারেন। পছন্দের গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন।
৪. বেড়াতে গেলে ডায়েট করার কথা মনে থাকে না। করা উচিতও নয়। তাই বলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেট পুরে খাওয়াও ঠিক নয়। এমনিতেই ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে খাবার খেয়ে নেওয়া জরুরি। পেট ভরে খেয়ে উঠে বিছানায় গেলে ঘুম আসে না চট করে। বেড়াতে গিয়েও এই অভ্যাসটা জারি রাখুন।
৫. বেড়াতে গেলে বাঁধনছাড়া জীবনযাপন করতে ভালবাসেন অনেকেই। তাই বলে মাত্রাছাড়া মদ্যপান না করাই শ্রেয়। তাতেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy