গরমের উপসর্গ ভেবে বড় কোনও রোগকে অবহেলা করছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত।
চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছাটাও যেন চলে যাচ্ছে। অফিস যাতায়াতের ধকল যেন আর বইতে পারছেন না। প্রবল গরমে এই উপসর্গগুলিকে শুধুই ‘সামার এফেক্ট’ বলে অবহেলা করলে না করাই ভাল। এই সব লক্ষণ কিন্তু রক্তাল্পতার উপসর্গ হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘অ্যানিমিয়া’। এই রোগে আক্রান্ত হলে অন্য হাজারটা রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। কাজেই সতর্ক না হলে বিপদ। জেনে নিন, কী কী লক্ষণ দেখে চিহ্নিত করা যেতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাকে।
১) যে হেতু রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহণ করে, তাই এই হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে দেহের সর্বত্র অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হয় না। ফলস্বরূপ সব কাজে হাঁপিয়ে ওঠেন আক্রান্ত ব্যক্তি। অল্প কাজ করেও ক্লান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। সিঁড়ি ভাঙার সময় হাঁপিয়ে উঠলে সতর্ক হোন।
২) অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রক্তাল্পতার প্রভাব পড়তে শুরু করে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের রঙে। রক্তাল্পতা থাকলে ফ্যাকাশে হয়ে যায় শরীর। বিশেষত, চোখের ভিতরের মাংসপেশিগুলি তার স্বাভাবিক রক্তিম রং হারিয়ে ফেলে।
৩) আয়রনের অভাবে যেমন রক্তাল্পতা হয়, তেমনই এর প্রভাবে চুলও পড়ে যেতে পারে। কাজেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও রক্তাল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
৪) রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি ও বিষণ্ণতা। ডেকে আনতে পারে মাথাব্যথাও। ফলে কিছু ক্ষেত্রে রোগী মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন। মনে রাখবেন, সময় মতো চিকিৎসা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু তা না হলে ঘটতে পারে বহুবিধ বিপদ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রক্তাল্পতা লাইফস্টাইল জনিত রোগ। ঘরোয়া কয়েকটি খাবার রোজ ডায়েটে রাখলেই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দূরে থাকতে পারে। মুসুর ডাল, কুলেখাড়া শাক, পালং শাক, আলু, কাজুবাদাম এর মধ্যে প্রধান। এ ছাড়াও কিশমিশ, টোম্যাটো, মটরশুঁটি, শিমের বীজ ইত্যাদি অত্যন্ত আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলি রোজ ডায়েটে থাকলে রক্তাল্পতাকে ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy