ভিটামিনের ওষুধ খাওয়ার আদর্শ সময় কোনটা? ছবি: শাটারস্টক।
করোনা-ভীতি অনেককেই আগের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য-সচেতন করে তুলেছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্ব অনেকে বুঝেছেন। কিন্তু ইমিউনিটিকে কেন্দ্র করে কিছু ভ্রান্ত ধারণা এবং অভ্যাসও আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দাওয়াই হিসাবে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দোকান থেকে মাল্টিভিটামিন কিনে খেয়েছেন, এখনও খেয়ে চলেছেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, সাধারণ মানুষ জানেন না, তাঁর শরীরে কোন ভিটামিন কতটা প্রয়োজন। সে কারণে অতিরিক্ত ভিটামিন সেবন অন্য সমস্যা তৈরি করছে শরীরে।
কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ছাড়া শরীরে কাজগুলি ঠিক মতো চালনা করতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিনেরও প্রয়োজন আছে। তবে আপনার শরীরে ভিটামিনের চাহিদা কতটা, তা চিকিৎসকই বলতে পারবেন। মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই যে আপনার শরীরের সব সমস্যা কমে যাবে, এমনটা নয়। সঙ্গে শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও জরুরি।
আপনার শরীরে কি মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন আছে?
নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাল্টিভিটামিন ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। প্রয়োজন বুঝে আপনার রক্ত পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে কোন মাত্রায় ভিটামিনের অসুধ খেতে হবে, তা তাঁরা স্থির করবেন। চিকিৎসকরা আপনাকে ভিটামিনের ওষুধ দিলে তা কোন সময় খেতে হবে, সে বিষয়ও সতর্ক থাকা জরুরি। ভিটামিন দু’ধরনের— ফ্যাট সলিউবল এবং ওয়াটার সলিউবল ভিটামিন। জলে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি এবং সি সাধারণত খালি পেটে খাওয়া নিরাপদ। তবে সেগুলি নিরাপদ মাত্রায় খেতে হবে, বেশি মাত্রায় খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন এ, ডি, ই ও কে এই ভিটামিন গুলি খাবারের সঙ্গে খেলে বেশি ভাল কাজ করে। খালি পেটে এই ওষুধগুলি খেলে ডায়ারিয়া, তলপেটে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। জলে দ্রবণীয় ভিটামিনটি অতিরিক্ত খেলে তেমন সমস্যা হয় না। কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। সমস্যা তৈরি করে ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। আমাদের শরীর থেকে ফ্যাট বেরোনোর কোনও প্রক্রিয়া নেই। তাই অতিরিক্ত ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে গিয়ে অন্যান্য রোগ ডেকে আনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy