হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রতি টান বেড়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
পেটে খিদে না থাকলেও সামনে খাবার দেখলেই মনটা কেমন খাই খাই করে! এমনটা অনেকেরই হয়। চলতি কথায় একে বলে ‘চোখের খিদে’। কখনও কখনও আবার কোনও বিশেষ স্বাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে, তা আসলে নির্ভর করে শরীরের উপরেই।
প্রতিটি বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। অনেক সময় দেখা যায়, খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। খাবার পরেই হোক কিংবা হালকা খিদে পেলে— মিষ্টি দেখলেই হল! উদ্বেগ ও চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। তবে সারা ক্ষণ মিষ্টি খাই খাই ভাব কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।
১) রোজকার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। তবে বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
২) রাতে ঠিকঠাক ঘুম হলে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্য কতটা প্রয়োজন, কোন খাবার আর খেতে ইচ্ছে করছে না— এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদনমাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৩) পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy